বাতাসের মান মানুষের সার্বিক জীবনযাত্রার ওপরে ইতিবাচক ও নেতিবাচক দুই ধরনেরই প্রভাব ফেলে। কোনো শহরের বাতাসের দূষণের মাত্রা বেশি থাকলে সেখানকার মানুষের বিভিন্ন শারীরিক ও মানসিক জটিলতা দেখা দিতে পারে। এ কারণে বাতাস এত গুরুত্বপূর্ণ।
সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার প্রতিদিন বিশ্বের বিভিন্ন শহরের বাতাসের মানসহ তালিকা প্রকাশ করে। আজ (মঙ্গলবার) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে এই তালিকায় ১২৭টি দেশ থাকলেও কোনো শহরের বাতাসের মান ‘অস্বাস্থ্যকর’ ছিল না। তবে ১০টি দেশের বাতাস ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ পর্যায়ে ছিল। এর মধ্যে এই সময়ে তালিকার শীর্ষে ছিল ফিলিপাইনের মানামা। শহরটির একিউআই স্কোর ছিল ১৪৫।
এদিকে, আজ ফের পাকিস্তানের লাহোরের বাতাসের মানে অবনতি দেখা গেছে। শহরটির একিউআই স্কোর ১৩২। এই স্কোর নিয়ে তালিকার দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে লাহোর। ১৩১ স্কোর নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে উগান্ডার কাম্পালা।
অন্যদিকে, ঢাকার বাতাস আজও ‘মাঝারি’ পর্যায়েই রয়েছে। টানা কয়েকদিন ধরেই এই পর্যায়ে রয়েছে শহরটির বাতাস। একিউআই স্কোর ছিল ৮২। স্বাস্থ্যকর না হলেও এই মানের বাতাসকে অস্বাস্থ্যকরও বলা চলেনা।
কণা দূষণের এই সূচক ৫০-এর মধ্যে থাকলে তা ‘ভালো’ বলে গণ্য করা হয়। আর স্কোর ৫০ থেকে ১০০-এর মধ্যে থাকলে তা ‘মাঝারি’ হিসেবে শ্রেণিভুক্ত করা হয়। এ ছাড়া ১০১ থেকে ১৫০ হলে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হয়। এই পর্যায়ে সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
তবে এই স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তা ‘অস্বাস্থ্যকর’, ২০১ থেকে ৩০০ হলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ এবং ৩০১-এর বেশি হলে তা ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচিত হয়। জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি সৃষ্টি করে ৩০০-এর বেশি যেকোনো সূচক।
বাংলাদেশে একিউআই সূচক নির্ধারিত হয় পাঁচ ধরনের দূষণের ভিত্তিতে— বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড (এনও₂), কার্বন মনো-অক্সাইড (সিও), সালফার ডাই-অক্সাইড (এসও₂) ও ওজোন।