ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলায় ভ্যান উল্টে আহত চালকের মৃত্যু হয়েছে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে।
ঢামেকের জরুরি বিভাগে রোববার রাত তিনটার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
ওই ভ্যানচালকের নাম আবদুল খালেক (৬০)। রোববার বেলা ১১টার দিকে তজুমদ্দিন ফায়ার সার্ভিস সংলগ্ন পাটোয়ারীর দোকানের সামনে ভ্যানটি উল্টে মাথায় গুরুতর আঘাত পেয়েছিলেন তিনি।
আবদুল খালেকের বাড়ি তজুমদ্দিনের দেওয়ানপুর গ্রামে। তার দুই ছেলে ও এক মেয়ে আছে।
ছেলে বাবুল মিয়া জানান, তার বাবা খালি ভ্যান নিয়ে কাঠ আনতে বাজারে যাচ্ছিলেন। পাটোয়ারীর দোকানের কাছে ভ্যানগাড়িটি উল্টে যায়। এতে তার বাবা মাথায় গুরুতর আঘাত পান।
তিনি জানান, খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করে শুরুতে তজুমদ্দিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। পরে ভোলা সদর হাসপাতাল, বরিশাল হয়ে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যান। সেখানে গভীর রাতে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
‘বাবাকে বাঁচানোর জন্য অনেক চেষ্টা করলাম। আমরা গরিব। ধার-দেনা করে কয়েকটি হাসপাতাল ঘুরে ঢাকা মেডিক্যাল নিয়ে আসার পরও বাবাকে বাঁচানো গেল না’, বলেন বাবুল মিয়া।
ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ বাচ্চু মিয়া জানান, ভ্যানচালকের মরদেহ জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। বিনা ময়নাতদন্তে দেহটি পরিবারের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।