পাওনা টাকা আদায়ের জন্য চাপ দেয়ায় গম গবেষণা ইনস্টিটিউটের সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আনোয়ার শহীদকে হত্যা করা হয় বলে জানিয়েছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন- র্যাব।
এ ঘটনায় হত্যা ও পরিকল্পনার সঙ্গে জড়িত দুইজনকে গ্রপ্তার করেছে র্যাব।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন জাকির হোসেন ও মো. সাইফুল।
রোববার রাতে গাাবতলী বাসস্ট্যান্ড থেকে তাদের দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সোমবার কারওয়ান বাজার র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান সংস্থার আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
তিনি জানান, আনোয়ার শহীদ গম গবেষণা কেন্দ্রে ১৯৭৬ সালে বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেন। ২০০৮ সালে পরিচালক পদমর্যাদায় প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা হিসেবে তার সবশেষ কর্মস্থল জয়দেবপুর থেকে অবসর নেন। অবসরের পর তিনি তার ছোট বোন ও মামলার বাদী ফেরদৌস সুলতানার সঙ্গে কল্যাণপুরের বাসায় থাকতেন।
পেনশনের টাকা দিয়ে দিনাজপুর জেলায় একটি জমি কিনে বাড়ি করে ভাড়া দেন তিনি। চাকরির সময় ১৯৯০ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত দিনাজপুর জেলায় কর্মরত ছিলেন আনোয়ার শহীদ।
সেখানেই তার সঙ্গে হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনাকারী জাকির হোসেনের পরিচয় বলে জানায় র্যাব। দিনাজপুরে জমি কেনার সময় জাকির দালাল হিসেবে মধ্যস্থতা করেন।
খন্দকার আল মঈন বলেন, ‘আনোয়ার শহীদের কাছ থেকে বিভিন্ন সময়ে জাকির ১২ লাখ টাকা ধার নেয়। ঢাকায় থাকলেও জাকিরের সঙ্গে নানা বিষয়ে যোগাযোগ ছিল আনোয়ারের। এক বছর আগে জাকির তার চালের গোডাউন বন্ধক রেখে ২০ লাখ টাকা লোন পাইয়ে দিতে আনোয়ার শহীদের সহযোগিতা চান। তিনি তাকে এ বিষয়ে সহযোগিতা না করলে তাদের মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টি হয়।’
এ সময় আনোয়ার পাওনা টাকা আদায়ে জাকিরকে চাপ দেন। টাকা না দিয়ে আনোয়ারকে হত্যার পরিকল্পনা করেন জাকির। পরিকল্পনা বাস্তবায়নে জাকির মো. সাইফুল নামে এক চাতাল শ্রমিককে ব্যবহার করেন। পরে সাইফুল আনোয়ারকে হত্যা করে বলে ব্রিফিংয়ে দাবি করে র্যাব।