বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বাবার সাক্ষ্য নিতে মডেল তিন্নি হত্যার রায় স্থগিত

  •    
  • ১৫ নভেম্বর, ২০২১ ১২:২২

১৯ বছর আগের আলোচিত হত্যা মামলাটির রায় ঘোষণার কথা ছিল সোমবার। তবে এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার সপ্তম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ কেশব রায় চৌধুরী রায় ঘোষণা স্থগিত করে তিন্নির বাবা ও চাচার সাক্ষ্য নিতে ৫ জানুয়ারি তারিখ দেন।

মডেল সৈয়দা তানিয়া মাহবুব তিন্নির বাবা ও চাচার সাক্ষ্য দেয়ার আবেদন জানানোয় আলোচিত হত্যা মামলার রায় ঘোষণা স্থগিত করেছে আদালত।

ঢাকার সপ্তম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ কেশব রায় চৌধুরী সোমবার রায় ঘোষণা স্থগিত করে তিন্নির বাবা ও চাচার সাক্ষ্য নিতে ৫ জানুয়ারি তারিখ দেন।

তিন্নির বাবা সৈয়দ মাহবুবুল করিম ও চাচা সৈয়দ রেজাউল করিম তাদের জবানবন্দি গ্রহণের জন্য আদালতে আবেদন করেছেন বলে জানান আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর ভোলা নাথ দত্ত।

তিনি বলেন, তিন্নির বাবা ও চাচার আংশিক সাক্ষ্যগ্রহণ হয়েছিল। তারা তাদের সাক্ষ্য পুনরায় গ্রহণের জন্য আবেদন করেছেন। আদালত সেই আবেদন গ্রহণ করেছে।

বিচারক কেশব রায় চৌধুরী তিন্নির চাচা সৈয়দ রেজাউল করিম ও বাবা মাহবুব করিমের কাছে জানতে চান, ‘আপনারা এতদিন কেন আসেননি, খোঁজ নেননি?’

তখন তিন্নির বাবা বলেন, ‘রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী পরিবর্তন হওয়ায় আমরা এই মামলার তারিখ জানতাম না। তাছাড়া, করোনার কারণে আদালত বন্ধ ছিল। আমরা বয়স্ক মানুষ, আমাদের মেয়ের হত্যাকাণ্ডের সঠিক ও ন্যায় বিচার চাই। আগের পিপি আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেননি। আমরা পত্রিকায় খবর দেখে আজ আদালতে এসেছি।’

এ সময় রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবী ভোলানাথ দত্ত আদালতকে বলেন, ‘আগের পিপি সাহেব বদলি হওয়ার কারণে সাক্ষীদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করতে না পারায় এই ব্যত্যয় ঘটেছে। যেহেতু ওনারা বয়স্ক মানুষ, হত্যাকাণ্ডের শিকার মডেল তিন্নির নিজের বাবা ও আপন চাচা, তাই তাদেরকে সাক্ষ্য দেয়ার সুযোগ না দিলে মামলাটিতে তার পরিবার ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হবে।’

তিনি জানান, ফৌজদারি মামলার যেকোনো পর্যায়ে আদালত মনে করলে সাক্ষ্য গ্রহণ করতে পারে। এটা আদালতের এখতিয়ার।

তিন্নি হত্যা মামলার একমাত্র আসামি জাতীয় পার্টির সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক অভি।

এর আগে প্রথম দফায় রায় ঘোষণার কথা ছিল ২৬ অক্টোবর। তবে রাষ্ট্রপক্ষ নতুন করে শুনানির আবেদন করলে তা গ্রহণ করে রায়ের তারিখ পিছিয়ে ১৫ নভেম্বর ঠিক করেন বিচারক।

কেরানীগঞ্জের বুড়িগঙ্গা নদীর ১ নম্বর চীন মৈত্রী সেতুর ১১ নম্বর পিলারের পাশে ২০০২ সালের ১০ নভেম্বর অজ্ঞাতপরিচয় এক মরদেহ পায় পুলিশ। পরদিন পত্রিকায় ছবি প্রকাশিত হলে সেটি মডেল সৈয়দা তানিয়া মাহবুব তিন্নির বলে শনাক্ত করেন তার এক স্বজন।

পরদিন অজ্ঞাতনামা আসামির বিরুদ্ধে মামলা করেন কেরানীগঞ্জ থানার তৎকালীন সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মো. সফি উদ্দিন। ২০০২ সালের ২৪ নভেম্বর মামলাটির তদন্তভার সিআইডিতে ন্যস্ত করা হয়। আর তদন্তের দায়িত্ব পান তৎকালীন সিআইডির পরিদর্শক ফজলুর রহমান।

এরপর মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব পান সিআইডির পরিদর্শক সুজাউল হক, সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) গোলাম মোস্তফা, এএসপি আরমান আলী, এএসপি কমল কৃষ্ণ ভরদ্বাজ ও এএসপি মোজাম্মেল হক।

সবশেষ তদন্ত কর্মকর্তা মোজাম্মেল হকই ২০০৮ সালের ৮ নভেম্বর সাবেক ছাত্রনেতা ও সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক অভিকে একমাত্র আসামি করে আদালতে মামলাটির অভিযোগপত্র জমা দেন।

২০১০ সালের ১৪ জুলাই অভির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে আদালত। চার্জশিটভুক্ত ৪১ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৮ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।

একমাত্র আসামি গোলাম ফারুক অভি পলাতক। ১৯৯৮ সালে সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বরিশাল-২ (উজিরপুর-বানারীপাড়া) আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে সর্বকনিষ্ঠ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন অভি। একই আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ২০০১ সালের নির্বাচনে হারেন তিনি।

মডেল তিন্নি হত্যা মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়, একটি হত্যা মামলায় ১৭ বছরের কারাদণ্ড পাওয়ার পর পলাতক থাকায় তাকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। কানাডায় অবস্থান করা অভির বিরুদ্ধে ২০০৭ সালে ইন্টারপোলে জারি করা হয় রেড নোটিশ।

এ বিভাগের আরো খবর