বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

স্বতন্ত্র-নৌকার সমর্থকদের সংঘর্ষ: ‘অন্তঃসত্ত্বাসহ আহত ৫’

  •    
  • ১৫ নভেম্বর, ২০২১ ১২:০৬

আলমডাঙ্গা থানার ওসি সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘কুমারী ইউনিয়নের ঘটনায় পুলিশ দুই পক্ষের দুজনকে আটক করেছে। ডাউকি ইউনিয়নের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীর অফিস ভাঙচুরের খবর পেয়েছি, তবে কোনো প্রার্থীই থানায় সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ করেননি।’

চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় তৃতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দুই ইউনিয়নে নৌকা ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে।

এতে এক অন্তঃসত্ত্বাসহ পাঁচজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

তবে এখনও কোনো পক্ষই থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ।

আলমডাঙ্গা উপজেলার কুমারী ও ডাউকি ইউনিয়নে রোববার রাতে এসব ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি জানান, রাতে ভোট চাওয়াকে কেন্দ্র করে কুমারী গ্রামে ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী মোজাম্মেল হক এবং আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আবু সাইদ পিন্টুর সমর্থকদের সংঘর্ষ হয়।

ওই সময় স্বতন্ত্র প্রার্থীর একটি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেয়া হয়; ভাঙচুর করা হয় আরও সাতটি মোটরসাইকেল। খবর পেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ।

পরে পিন্টুর কর্মী সেলিম উদ্দিন এবং মোজাম্মেলের কর্মী হিরণ আলীকে আটক করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।

মোজাম্মেল হক বলেন, ‘রোববার রাতে নির্বাচনি পথসভা শেষ করে অফিসে আসলে নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী আবু সাইদ পিন্টুর কর্মীরা হঠাৎ আমার নির্বাচনি অফিসে ভাঙচুর শুরু করে। বাধা দিতে গেলে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক আহত হন। তাকে স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থীর কর্মীরা তাদের নিজেদের অফিস ভাঙচুর করে আমাদের নামে এখন দোষ চাপানোর চেষ্টা করছে।’

কুমারী ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী আবু সাইদ পিন্টু বলেন, ‘স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীর কোনো অফিস ভাঙচুর করা হয়নি; বরং তার কর্মীরা আমার একটি অফিস ও দুটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করেছে।

‘এ সময় রিপন ও লাভলু নামে আমার দুই কর্মীকে মারধর করে তারা। তাদের উদ্ধার করে আলমডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।’

এদিকে স্বতন্ত্র ও আওয়ামী লীগ চেয়ারম্যান প্রার্থীর পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে ডাউকি ইউনিয়নেও।

ডাউকি ইউপি নির্বাচনে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী নাজমুল হোসাইন বলেন, ‘আমার নির্বাচনি এলাকা পোয়ামারি গ্রামে আমার একটি অফিস ভাঙচুর করেছে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর কর্মীরা। এ সময় আমার কর্মী আলী হোসেনকে মারধর ও তার গর্ভবতী স্ত্রী মিনি খাতুনের পেটে লাথি মেরে আহত করে তারা। আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।’

এ বিষয়ে ডাউকি ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘ধাক্কাধাক্কির সময় হয়তো তার অফিস ভেঙে গেছে। কাউকে মারধর করেনি আমার কর্মীরা; বরং আমার এক কর্মীকে তারা গালিগালাজ করেছে।’

এ বিষয়ে আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘কুমারী ইউনিয়নের ঘটনায় পুলিশ দুই পক্ষের দুজনকে আটক করেছে। ডাউকি ইউনিয়নের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীর অফিস ভাঙচুরের খবর পেয়েছি, তবে কোনো প্রার্থীই থানায় সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ করেননি।’

আগামী ২৮ নভেম্বর তৃতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচনে কুমারী ও ডাউকি ইউনিয়নে ভোট হবে।

এ বিভাগের আরো খবর