দেশে চারটি অসংক্রামক রোগের মধ্যে অন্যতম একটি ডায়াবেটিস। বর্তমানে ৮৪ লাখ মানুষ এই রোগে ভুগছেন। আগামী চার বছরে এই সংখ্যা দ্বিগুণ হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। এই হিসাবে ২০২৫ সালের মধ্যে দেশে এই রোগে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা দেড় কোটি ছাড়াতে পারে।
বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস উপলক্ষে রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ডায়াবেটিসের বর্তমান পরিস্থিতি এবং ভবিষ্যৎ দিকনির্দেশনা শীর্ষক এক সেমিনারে রোববার সন্ধ্যায় এমন আশঙ্কা প্রকাশ করেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য উপস্থাপন করেন মেডিক্যাল অ্যাফেয়ার্স পরিচালক ডা. মাহমুদ আবেদিন খান।
বারডেম জেনারেল হাসপাতালের এন্ডোক্রাইনোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. মো. ফারুক পাঠান বলেন, ‘বাংলাদেশ বর্তমানে বিশ্বের ১০ তম ডায়াবেটিস প্রবণ দেশ এবং বাস্তব পরিস্থিতি এর চেয়েও গুরুতর। বর্তমানে শহর ও গ্রামে প্রায় সমানভাবে বেড়ে চলেছে ডায়াবেটিসের রোগী। তাই, গুরুতর অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে এখনই এটি প্রতিরোধে কার্যকরি ব্যবস্থা গ্রহণ এখন সময়ের দাবি।
‘এখনই ব্যবস্থা না নিলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে। সর্বস্তরের সমন্বিত কর্মপরিকল্পনা এবং ডায়াবেটিক রোগীর সেবায় সুলভে ওষুধ সরবরাহ থেকে শুরু করে অন্যান্য সহযোগী ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা খুবই জরুরি,’ যোগ করেন তিনি।
বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস উপলক্ষে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ডায়াবেটিসের বর্তমান পরিস্থিতি এবং ভবিষ্যত দিকনির্দেশনা শীর্ষক সেমিনারে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা। ছবি: নিউজবাংলা
ডায়াবেটিসকে প্রতিরোধ করা সম্ভব জানিয়ে জাতীয় অধ্যাপক এ কে আজাদ খান বলেন, প্রতিশ্রুতিশীল তরুণ গবেষকদের ডায়াবেটিস নিয়ে গবেষণায় আরও এগিয়ে আসতে হবে। এতে করে দেশে এবং রোগীর সামনের দিনগুলোতে সহজে ডায়াবেটিস ব্যবস্থাপনা করা সম্ভব হবে।
অনুষ্ঠানে সানোফি বাংলাদেশের উদ্যোগে ডায়াবেটিস নিয়ে গবেষণা করায় পাঁচ গবেষককে বিশেষ পুরস্কার ও সম্মানি দেয়া হয়।
অনুষ্ঠানের আরও উপস্থিত ছিলেন ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালের এন্ডোক্রাইনোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. এস এম আশরাফুজ্জামান, বাংলাদেশ এন্ডোক্রাইন সোসাইটির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আবুল হাসানাত, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের এন্ডোক্রাইনোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান ও অধ্যাপক এম এ সামাদ, ন্যাশনাল হেলথ কেয়ার নেটওয়ার্ক নির্বাহী প্রধান ডা. মো. হাফিজুর রহমান।