রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে নির্বাচনি সহিংসতায় নিহত যুবলীগ নেতা ইসমাইল হোসেন হত্যা মামলায় পাঁচজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
রায়ে একজনকে ১০ বছর কারাদণ্ড, চারজনকে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং ১৮ জনকে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। খালাস দেয়া হয়েছে সাতজনকে।
রাজশাহী দ্রুত বিচার টাইব্যুনালের বিচারক অনুপ কুমার রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এই রায় দেন।
দণ্ডিত আসামিরা বিএনপি-জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত এবং সবার বাড়ি গোদাগাড়ী উপজেলার পালপুর, ধরমপুরসহ আশপাশের কয়েকটি গ্রামে।
যাবজ্জীবন সাজা পাওয়া আসামিরা হলেন আবু সুফিয়ান, ওয়াসীম রেজা, মোস্তাক আহমেদ ওরফে মেরজা, শরীফ দুলাল ওরফে সেতু ও মো. জাহির। ১০ বছর কারাদণ্ড পাওয়া আসামির নাম মিনারুল ইসলাম ওরফে মিলন। আদালত তাকে ৫ হাজার টাকা জরিমানাও করেছে।
ছয় মাস কারাদণ্ড পাওয়া আসামিরা হলেন মো. লাভলু, ভকত আলী, মো. বুলবুল ও সাহেব আলী। রায় ঘোষণার সময় ৩৩ আসামি কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন।
মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এন্তাজুল হক বাবু জানান, এজাহারভুক্ত আসামি ছিলেন ২২ জন। পরে পুলিশের দেয়া অভিযোগপত্রে আসামির সংখ্যা বেড়ে ৩৫ জন হয়। মামলায় সাক্ষী ছিলেন ৩২ জন। ২২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত এ রায় দিয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ইসমাইল দেওপাড়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ছিলেন। ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ওই ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক ছিলেন তিনি। সেদিন বিএনপি-জামায়াতের কর্মীরা পালপুর ভোটকেন্দ্র দখল নিতে গেলে তিনি বাধা দেন। এ সময় প্রতিপক্ষরা তাকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে গুরুতর আহত করেন। পরের দিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ইসমাইল।
এ ঘটনায় ২ জানুয়ারি নিহতের স্ত্রী বিজলী বেগম গোদাগাড়ী থানায় হত্যা মামলা করেন।