বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আমিরাতে ওয়ার্ক পারমিটে নিষেধাজ্ঞা বাতিল চাইবে বাংলাদেশ

  •    
  • ১৩ নভেম্বর, ২০২১ ২০:২৬

অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, যৌথ অর্থনৈতিক কমিশনের বৈঠকে বাংলাদেশ দুটি বিষয়ে বেশি গুরুত্ব দেবে। এর মধ্যে একটি হচ্ছে জনশক্তি রপ্তানি ইস্যু, অন্যটি পণ্যের শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার। বর্তমানে বাংলাদেশি শ্রমিকদের জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাত বা ইউএইতে সরাসরি কোনও শ্রমিক (ওয়ার্কার) ভিসা নেই। অর্থাৎ বাংলাদেশিদের জন্য ‘ওয়ার্ক পারমিট’ নেই। প্রথমে ভিজিট ভিসা নিয়ে আমিরাতে যেতে হয়। ঢুকার পর কাজের জন্য আলাদা অনুমতি নিতে হয়। এতে করে বাংলাদেশি শ্রমিকদের নানা ভোগান্তি ও হয়রানির শিকার হতে হয়।

দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে দুই বছর পর ফের বাংলাদেশের সঙ্গে হতে যাচ্ছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের মধ্যকার যৌথ অর্থনৈতিক কমিশনের (জেইসি) বৈঠক।

সোমবার ঢাকায় এ বৈঠক আয়োজিত হবে। বৈঠকে বাংলাদেশ দলের নেতৃত্ব দেবেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। সংযুক্ত আরব আমিরাতের পক্ষে সে দেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আহমেদ আলী আল সাহে নেতৃত্ব দেবেন।

অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এ বৈঠকে বাংলাদেশ দুটি বিষয়ে বেশি গুরুত্ব দেবে। এর মধ্যে একটি হচ্ছে জনশক্তি রপ্তানি ইস্যু, অন্যটি পণ্যের শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার।

বর্তমানে বাংলাদেশি শ্রমিকদের জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাত বা ইউএইতে সরাসরি কোনও শ্রমিক (ওয়ার্কার) ভিসা নেই। অর্থাৎ বাংলাদেশিদের জন্য ‘ওয়ার্ক পারমিট’ নেই।

প্রথমে ভিজিট ভিসা (টুরিস্ট) নিয়ে আমিরাতে যেতে হয়। ঢুকার পর কাজের জন্য আলাদা অনুমতি নিতে হয়। এতে করে বাংলাদেশি শ্রমিকদের নানা ভোগান্তি ও হয়রানির শিকার হতে হয়।

আসছে জেইসি বৈঠকে, সরাসরি ওয়ার্ক পারমিটের ভিসা দেয়ার জন্য আমিরাত সরকারকে অনুরোধ জানাবে বাংলাদেশ ।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইআরডির এক কর্মকর্তা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বাংলাদেশি শ্রমিকরা এখন আমিরাতে ওয়ার্ক পারমিটের অনুমতি পায়না। আমরা এ বিধি-নিষেধ তুলে নিতে বলব।’

তিনি আরও বলেন, এখন বাংলাদেশিরা আমিরাতে ভিসিট ভিসা নিয়ে ঢুকে। পরে ওয়ার্ক পারমিটের জন্য আলাদা আবেদন করতে হয়। এতে করে বাংলাদেশি শ্রমিকদের নানা জটিলতার মুখোমুখি হতে হয়।

আসছে জেইসি বৈঠকে বাংলাদেশিদের জন্য এ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নিতে বলা হবে। এ নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলে মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশটিতে বাংলাদেশি শ্রমিক যেতে সহজ হবে এবং জনশক্তি রপ্তানি আরও বাড়বে।

জনশক্তি রপ্তানি ও কর্মসংস্থান ব্যুরো অফিস কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে ২০ লাখের ও বেশি শ্রমিক আবুধাবীতে গেছেন। আগামীতে আরও শ্রমিক নেবে তারা। বাংলাদেশ এ সুযোগ কাজে লাগাতে চায়।

মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মধ্যে সৌদি আরবের পরই আমিরাতে সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশি কাজ করেন। ফলে ওই দেশে থেকে প্রতিবছর বিপুল পরিমাণ রেমিট্যান্স (বৈদেশিক মুদ্রা/প্রবাসীর আয়) বাংলাদেশে আসে।

ইআরডির কর্মকর্তারা বলেন, বৈঠকে বাংলাদেশ থেকে দক্ষ শ্রমিক নিয়োগে দাবি জানানো হবে। এ ছাড়া পেশাজীবী যেমন চিকিৎসক, নার্স, তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ নেয়ার বিষয়ে আমিরাত সরকারকে অনুরোধ করা হবে।

বর্তমানে বাংলাদেশে চমৎকার বিনিয়োগের পরিবেশ বিরাজ করছে। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে আরও বেশি বিনিয়োগের জন্য আমিরাত সরকারকে অনুরোধ করা হবে বৈঠকে।

ইআরডির এক কর্মকর্তা বলেন, ‘বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও নির্মাণ শিল্পে আমিরাতের বেশি কয়েকটি বিশ্বখ্যাত কোম্পানি রয়েছে। ওই সব কোম্পানিকে বাংলাদেশের উল্লেখিত খাত গুলোতে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারত্বের আওতায় বিনিয়োগের আহ্বান জানানো হবে।’

ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, বন্দর, হোটেল, মোটেল ও অবকাঠামো খাতে বিনিয়োগের জন্য অর্থায়নের অনুরোধ করা হবে বৈঠকে।

এ ছাড়া বিমানে যাত্রীপরিবহন ও পণ্য পরিবহন বাড়াতে অনুরোধ জানাবে বাংলাদেশ। বৈঠকে এসব বিষয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হতে পারে।

শ্রম ইস্যুর পাশাপাশি, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বাড়ানোর বিষয়টি আলোচনায় প্রাধান্য পাবে। বর্তমানে বাংলাদেশের মোট রপ্তানির মাত্র ৩ থেকে ৪ শতাংশ মধ্যপ্রাচ্যে যায়।

মধ্যপ্রাচ্যে রপ্তানির অনেক সম্ভাবনা রয়েছে। বিশেষ করে তৈরি পোশাক, চামড়াজাত, প্লাস্টিকসহ আরও অনেক পণ্যের। বাংলাদেশ এ সুযোগ কাজে লাগাতে চায়।

এ জন্য বৈঠকে বাংলাদেশি পণ্যের শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার সুবিধা চাওয়া হবে।

এ বিভাগের আরো খবর