বাগেরহাটে হামলা ও ভাঙচুরে পণ্ড হয়ে গেছে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সভা।
এ ঘটনায় জেলা বিএনপির আহ্বায়ক এ টি এম আকরাম হোসেন তালিমসহ ২৮ নেতা-কর্মীকে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।শনিবার বেলা ১১টার দিকে জেলা বিএনপির কার্যালয়ে আহ্বায়ক কমিটির সভা শুরু হয়। সভার শুরুতেই আকরাম হোসেনের সঙ্গে জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এম এ সালাম গ্রুপের নেতা-কর্মীরা তর্কে জড়িয়ে পড়েন।
দলীয় সূত্র ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বিএনপির কার্যালয়ে হাতাহাতি ও চেয়ার ছোড়াছুড়ির একপর্যায়ে ভাঙচুর শুরু হয়। এতে সভা পণ্ড হয়ে যায়। ঘটনাস্থলে পুলিশ গেলে সালাম গ্রুপের নেতা-কর্মীরা পালিয়ে যান।
পরে সভাস্থল থেকে পুলিশ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আকরাম হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক শেখ কামরুল ইসলাম গোরা, শেখ ফরিদুল ইসলামসহ ২৮ নেতা-কর্মীকে বাগেরহাট মডেল থানায় নিয়ে যায়।
বাগেরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম আজিজুল ইসলাম বলেন, ‘মিটিংয়ে ব্যস্ত আছি, পরে কথা বলব।’
এ বিষয়ে বাগেরহাট পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি শেখ শাহেদ আলী রবি বলেন, ‘সকালে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সভায় আমরা সবাই উপস্থিত হই। শুরুতেই বর্তমান কমিটির আহ্বায়ক আকরাম হোসেন কয়েকজন নেতা-কর্মীর সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। এটা দেখার পর আমরা সভাস্থল ত্যাগ করি।’
জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব মোজাফ্ফর রহমান আলম বলেন, ‘সভায় দুপুর ১টার দিকে বক্তব্য রাখছিলেন আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সৈয়দ নাসির আহমেদ মালেক। এ সময় কয়েক নেতাকর্মী বিএনপির বিভিন্ন অনুষ্ঠানে দাওয়াত না পাওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলে বাগ্ বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। এক পর্যায় দুই গ্রুপের নেতাকর্মীরা ভাঙচুর চালান। এতে ১০-১৫ জন আহত হন। পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।’
এ বিষয়ে বাগেরহাটের পুলিশ সুপার কে এম আরিফুল হক বলেন, ‘বিএনপি কার্যালয়ে সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বিএনপির কিছু নেতাকর্মীকে পুলিশ হেফাজতে নিয়েছে। কি নিয়ে ঘটনার সূত্রপাত সে বিষয়ে পুলিশ তদন্ত করে দেখছে।’
এ ঘটনায় এখনও মামলা হয়নি বলে জানান পুলিশ সুপার।