বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ইউপি সদস্য হত্যা: ঘরে আগুন পুলিশের সামনেই

  •    
  • ১৩ নভেম্বর, ২০২১ ১৪:৩৩

শতাধিক পুলিশের উপস্থিতি থাকা সত্ত্বেও লক্ষ্মীপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের দেড় হাজার শিক্ষার্থীসহ স্থানীয় বিক্ষুব্ধ লোকজন প্রধান সন্দেহভাজন আরিফ ও তার স্বজনদের বাড়িতে আগুন দেয়। ফায়ার সার্ভিসে খবর দেয়া হয়েছে। আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চলছে।

গাইবান্ধা সদরে নবনির্বাচিত ইউপি সদস্যকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় আরও পাঁচটি ঘরে আগুন দিয়েছে বিক্ষুব্ধ লোকজন।

উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের মাগুরের কুটি গ্রামে শনিবার দুপুর পৌনে ২টার দিকে ঘরগুলোতে আগুন দেয়া হয়।

স্থানীয়দের বরাত দিয়ে পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান, শতাধিক পুলিশের উপস্থিতি থাকা সত্ত্বেও লক্ষ্মীপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের দেড় হাজার শিক্ষার্থীসহ স্থানীয় বিক্ষুব্ধ লোকজন প্রধান সন্দেহভাজন আরিফ ও তার স্বজনদের বাড়িতে আগুন দেয়। ফায়ার সার্ভিসে খবর দেয়া হয়েছে। আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চলছে।

এর আগে দায়ীর বিচার দাবিতে দেড় ঘণ্টা গাইবান্ধা-সুন্দরগঞ্জ আঞ্চলিক সড়কের লক্ষীপুর বাজার এলাকা অবরোধ করে বিক্ষুব্ধরা। শনিবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে অবস্থান নেয় বিক্ষুব্ধ জনতা, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।

বিক্ষোভকারীরা গাছের গুঁড়ি ও ডালপালা ফেলে চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দেয়। এতে সড়কের দুই পাশে আটকা পড়ে শত শত যানবাহন।

শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে নবনির্বাচিত ইউপি সদস্য রউফ তার প্রতিবেশী রুহুল আমিনের সঙ্গে মোটরসাইকেলে লক্ষ্মীপুর বাজার থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। বাড়ির কাছাকাছি একটি ভাঙা ব্রিজ হেঁটে পার হচ্ছিলেন তারা। এ সময় একই গ্রামের এক যুবক লোহার রড দিয়ে তার ওপর অতর্কিত হামলা চালান। রউফের মাথায় কয়েকটি আঘাত করে পালিয়ে যান ওই যুবক।

পরে রউফকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক রাত সাড়ে ১১টার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন। স্বজনরা বলছেন, রউফের ওপর হামলাকারী যুবকের নাম আরিফ।

রউফের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে রাত দেড়টার দিকে উত্তেজিত লোকজন অভিযুক্ত আরিফের বাড়িতে আগুন দেয়।

গাইবান্ধা ফায়ার সার্ভিসের এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। আগুনে ওই বাড়ির দুটি ঘর ও মালপত্র পুড়ে যায়।

এ বিভাগের আরো খবর