হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে পাঁচবার অংশ নিয়েও জিততে না পারা মিসবাহ্ উদ্দিন ভূঁইয়া অবশেষে জয়ের দেখা পেয়েছেন। তবে উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে নয়, ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান পদে জয় পেয়েছেন বিতর্কিত এই নেতা।
দ্বিতীয় ধাপে বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হয় আজমিরীগঞ্জ উপজেলার চার নম্বর কাকাইলছেও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন।
নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হিসেবে নৌকা প্রতীক নিয়ে ৯ হাজার ৫৪২ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হন মিসবাহ উদ্দিন ভূঁইয়া। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা আশরাফ উদ্দিন পেয়েছেন ছয় হাজার তিন ভোট।
কাকাইলছেও ইউনিয়নে এর আগে চেয়ারম্যান ছিলেন মিসবাহ উদ্দিনের বড় ভাই নূরুল হক ভূঁইয়া। এই দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ জমা দিয়েছেন স্থানীয় চারজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। তাদের একজন আশরাফ উদ্দিন এবার মিসবাহ উদ্দিনের কাছে হেরে গেছেন।
যুদ্ধাপরাধে অভিযুক্ত নেতাকে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন দেয়া নিয়ে বেশ সমালোচনা হয়। আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা অবশ্য দাবি করেন, তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছিল তা চক্রান্তমূলক।
মিসবাহ উদ্দিন ভুঁইয়া বলেন, ‘উপজেলা নির্বাচনে পাঁচবার পরাজিত হলেও কোনো সময়ই আমার ইউনিয়নে পরাজিত হইনি। প্রতিবারই কাকাইলছেও ইউনিয়নে অন্য প্রার্থীদের চেয়ে বিশাল ভোটে এগিয়ে ছিলাম। তাই এবার ইউনিয়নের ভোটে অংশ নেই।’
উপজেলায় নৌকা ডুবিয়েছেন দু’বার
ভোটাররা বলেছেন মিসবাহ্ ভূঁইয়া ১৯৮৫ সাল থেকে হেরে চলেছেন। ১৯৮৫ সালে প্রথম উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে প্রয়াত হাফাই মিয়ার কাছে হেরে যান। ১৯৯০ সালেও হাফাই মিয়াকে হারাতে পারেননি তিনি। ২০০৯ সালে হাফাই মিয়ার ভাতিজা প্রয়াত মোশারফ হোসেন মোহনের কাছেও হেরে যান তিনি।
২০১৪ সালে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েও প্রয়াত আতর আলী খানের কাছে জামানত হারান মিসবাহ। আতর আলী খান মারা গেলে ২০১৮ সালে উপনির্বাচনেও আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে আতর আলীর ছেলের কাছে পরাজিত হন তিনি।