কিছুটা কমাতে পারলেও লোকসান থেকে বের হতে পারল না। রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানি ইস্টার্ন ক্যাবল। পর পর দ্বিতীয় বছর কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদেরকে কোনো লভ্যাংশ না দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
গত ৩০ জুন সমাপ্ত অর্থবছরের হিসাব পর্যালোচনা করে বুধবার কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ এই সিদ্ধান্ত নেয়।
প্রতিবেদন অনুযায়ী ২০২০ সালের জুলাই থেকে গত জুন পর্যন্ত কোম্পানিটি শেয়ার প্রতি লোকসান দিয়েছে ৪ টাকা ৬৮ পয়সা।
আগের বছরের তুলনায় কোম্পানিটি লোকসান কিছুটা কমাতে পেরেছে। ২০২০ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত অর্থবছরে শেয়ার প্রতি লোকসান ছিল ৬ টাকা ৪৬ পয়সা।
২০১৮ সাল থেকেই কোম্পানিটি টানা লোকসানে আছে। ওই বছর শেয়ারে ১৫ পয়সা লোকসান দেয়া কোম্পানিটির পরের বছর লোকসান আরও বাড়ে। সে বছর শেয়ারপ্রতি লোকসান দাঁড়ায় ৪ টাকা ৭২ পয়সা।
যে কোনো বিবেচনায় এই লোকসান বড় হলেও তৃতীয় প্রান্তিক পর্যন্ত হিসাব পর্যালোচনা করলে চতুর্থ প্রান্তিকের হিসাব বিবরণী অতটা খারাপ দেখাচ্ছে না।
গত মার্চে সমাপ্ত তৃতীয় প্রান্তিক শেষেই শেয়ার প্রতি ৪ টাকা ৫১ পয়সা লোকসান ছিল কোম্পানিটির। চতুর্থ প্রান্তিকে লোকসান হয়েছে আরও ১৯ পয়সা। অর্থবছরের আগের তিন প্রান্তিকের প্রতিবারেই লোকসান ছিল এর চেয়ে বেশি।
বিপুল পরিমাণ লোকসান দিলেও কোম্পানিটি ২০১৮ ও ২০১৯ সালে রিজার্ভ থেকে লভ্যাংশ দিয়েছে। ২০১৮ সালে ১০ শতাংশ বোনাস শেয়ার ও পরের বছর ৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়া হয়। তবে গত বছর কোম্পানিটি এবারের মতোই কোনো লভ্যাংশ দেয়নি।
টানা লোকসানের কারণে কোম্পানিটির সম্পদও কমছে। ২০১৮ সালে শেয়ার প্রতি ৩০ টাকা ৪৭ পয়সা সম্পদ থাকা কোম্পানিটির এই সম্পদ কমতে কমতে এবার দাঁড়িয়েছে ১০ টাকা ৪২ পয়সা। গত বছর শেয়ার প্রতি সম্পদ ছিল ১৫ টাকা ১১ পয়সার।
লোকসানি হলেও শেয়ার সংখ্যা কম থাকার কারণে কোম্পানিটির শেয়ারমূল্য অস্বাভাবিক রকম বেশিই বলা যায়।
লভ্যাংশ ঘোষণার দিন শেয়ারদর ছিল ১২৪ টাকা ৯০ পয়সা।
গত এক বছরে এই দর ১১৫ টাকা ৬০ পয়সা থেকে ১৮৭ টাকা পর্যন্ত উঠানামা করেছে।
এই সর্বোচ্চ দর উঠে গত সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে। তখন থেকে শুরু হওয়া বাজার সংশোধনে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন কোম্পানিটির বিনিয়োগকারীরা।