স্থানীয় সরকারের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে কেন্দ্রে কেন্দ্রে ভোটের সরঞ্জাম পাঠানো হচ্ছে।
মঙ্গলবার মধ্যরাতে শেষ হয় নির্বাচনি প্রচার। বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে ৮৪৮টি ইউপির মধ্যে ২৬টিতে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট নেয়া হবে। বাকি ইউপিতে ভোট হবে ব্যালট পেপারে।
বরিশালের তিনটি উপজেলার ১২ ইউনিয়ন পরিষদের কেন্দ্রে কেন্দ্রে নির্বাচনি সরঞ্জাম পাঠিয়েছে উপজেলা নির্বাচন অফিস।
বুধবার দুপুর ১২টার দিকে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তিন উপজেলার নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে সরঞ্জাম পাঠান। তারা এগুলো সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তার হাতে তুলে দেন।
সদর উপজেলার নির্বাচন কর্মকর্তা আব্দুল মান্নান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ভোট নেয়ার জন্য আমাদের সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। আশা করছি, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট হবে।’
মেহেরপুরের মুজিবনগর ও গাংনী উপজেলার নয় ইউনিয়নে দ্বিতীয় ধাপে ভোট হবে। এর মধ্যে মুজিবনগর উপজেলার বাগোয়ান ইউনিয়নে ইভিএমে ভোট নেয়া হবে।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আবু আনছার জানান, ৮৭টি কেন্দ্রে নয় ইউপির ভোট নেয়া হবে। ব্যালট পেপার বাদে নির্বাচনের সব সরঞ্জাম পাঠানো হচ্ছে। ভোটের দিন যথাসময়ে ব্যালট পেপার কেন্দ্রে পৌঁছে যাবে।
জেলা পুলিশ সুপার রাফিউল আলম নির্বাচনি ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘বৃহস্পতিবারের ভোটে পুলিশের ভূমিকা থাকবে সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ। দায়িত্ব পালনে পুলিশের অবহেলা মেনে নেয়া হবে না।’
মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নে বুধবার ব্যালট পেপার বাদে বাকি সরঞ্জাম বিতরণ করা হচ্ছে। ব্যালট পেপার পাঠানো হবে ভোটের দিন সকালে।
ইউএনও প্রণব ঘোষ জানান, ভোটের দিন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পাঁচজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, ১৪ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, চার প্লাটুন বিজিবি, দুই প্লাটুন র্যাব, পুলিশের ১৪টি মোবাইল টিম থাকবে।
দ্বিতীয় ধাপে নওগাঁ সদর ও রাণীনগর উপজেলার ২০টি ইউপির ভোট কেন্দ্রে বুধবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত নির্বাচনি সরঞ্জাম পাঠানো হয়েছে।
২০টির মধ্যে সদর উপজেলার বক্তারপুর ইউনিয়ন ও রাণীনগরের কাশিমপুর ইউনিয়নে ইভিএমে ভোট হবে।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মাহমুদ হাসান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বৃহস্পতিবার ১৮৫টি কেন্দ্রে ভোট হবে। ব্যালট পেপার ছাড়া সব সরঞ্জাম প্রতিটি কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। ব্যালট পেপার রাতে উপজেলা নির্বাচন অফিসে থাকবে।’
নাটোরে ভোট হবে সদর উপজেলার সাতটি ও বড়াইগ্রাম উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়ন পরিষদে।
নির্বাচন কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম জানান, বুধবার দুপুর থেকে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে প্রতিটি কেন্দ্রে নির্বাচনি সরঞ্জাম পাঠানো হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সদর উপজেলায় তিন প্লাটুন বিজিবি ও বড়াইগ্রামে দুই প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। ভোটের দিন প্রতিটি কেন্দ্রে ১৭ জন আনসার সদস্য থাকবেন।
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার ১৪টি ইউপির ১২টিতে ভোট হবে ব্যালট পেপারে। দুটি ইউপির ভোট ইভিএমে নেয়া হবে।
বুধবার দুপুরের পর উপজেলা নির্বাচন অফিস থেকে প্রতিটি কেন্দ্রে নির্বাচনি সরঞ্জাম বিতরণ শুরু হয়।
জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) জানান, নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার জন্য ১ হাজার ৯১জন পুলিশ, ২ হাজার ২৪৪ জন আনসার, সাত প্লাটুন বিজিবি, সাত প্লাটুন র্যাব, ২১ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রট ও পাঁচজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কাজ করবে।
চুয়াডাঙ্গার দুই উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়ন পরিষদের ভোট উপলক্ষে কেন্দ্রে কেন্দ্রে নির্বাচনি সরঞ্জাম পাঠানো হয়েছে।
বুধবার বেলা সাড়ে ৩টা থেকে দামুড়হুদা ও জীবননগর উপজেলা নির্বাচন অফিস থেকে সরঞ্জাম বিতরণ শুরু হয়।
সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ১৩টি ইউনিয়ন পরিষদের ভোট নেয়ার জন্য বুধবার দুপুর থেকে নির্বাচনি সরঞ্জাম পাঠানো হয়। প্রিসাইডিং কর্মকর্তারা এগুলো বুঝে নিয়েছেন।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা নাজমুল হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করা হচ্ছে। ভোটাররা যেন তাদের ভোটাধিকার নির্বিঘ্নে প্রয়োগ করতে পারে সে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।’
এ ছাড়া বাকি ইউনিয়ন পরিষদেও প্রয়োজনীয় সামগ্রী পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন নিউজবাংলার জেলা প্রতিনিধিরা।