ভারী রক্ষণাবেক্ষণ কাজের জন্য ১০ ডিসেম্বর থেকে ৩১ মে পর্যন্ত প্রতিদিন ৮ ঘণ্টা করে বন্ধ থাকবে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের রানওয়ে।
দেশি-বিদেশি এয়ারলাইনসগুলোকে পাঠানো এক নির্দেশনায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এম মফিদুর রহমান নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘আগামী ১০ ডিসেম্বর থেকে ৩১ মে পর্যন্ত প্রতিদিন রাত ১২টা থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত বন্ধ থাকবে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। এ সময় রানওয়ের অত্যাবশ্যকীয় সংস্কার কাজ করা হবে।’
এ আট ঘণ্টার মধ্যে জরুরি অবতরণের দরকার হলে উড়োজাহাজগুলোকে সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের রানওয়ে ব্যবহার করতে বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে বেসরকারি এয়ারলাইনসের এক কর্মকর্তা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এ সময়ে থাকা ফ্লাইটগুলো পুনর্বিন্যাস করতে বেবিচক নির্দেশ দিয়েছে।’
ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যে আইএলএস প্রযুক্তি আছে, তার দৃষ্টিসীমা ৬০০ মিটার, কিন্তু শীতকালে ঘন কুয়াশায় প্রায়ই রানওয়ের দৃষ্টিসীমা নেমে আসে ৫০ থেকে শূন্য মিটারে। এ পরিস্থিতিতে নিরাপত্তার কারণে কোনো ফ্লাইটকেই ওঠানামার অনুমতি দেয়া হয় না।
বিশেষ পরিস্থিতিতে ফ্লাইট পাঠানো হয় বিকল্প বিমানবন্দরে। এতে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ে এয়ারলাইনস। এ কারণে বেশ কয়েক বছর ধরে আইএলএস প্রযুক্তির মানোন্নয়নের দাবি জানিয়ে আসছে এয়ারলাইনসগুলো।
শাহজালালের নির্বাহী পরিচালক তৌহিদ উল আহসান বলেন, ‘আইএলএস ক্যাটাগরি উন্নীত করার প্রক্রিয়াও চলমান রয়েছে।’
বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ফ্রান্সের থ্যালাসের কাছ থেকে বাংলাদেশ যে রাডার কিনছে, তার সঙ্গে আইএলএস প্রযুক্তিও দেশে আসবে। তবে এ প্রক্রিয়া শেষ হতে এখনও সময় লাগবে। থ্যালাসের যে রাডার শাহজালালে বসবে, সেটি প্রস্তুত হয়ে কাজ শুরু করতে সময় লাগবে ২০২৪ সাল।
বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) ফ্লাইট স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড রেগুলেশনস বিভাগের সদস্য চৌধুরী এম জিয়া উল কবির নিউজবাংলাকে বলেন, ‘কুয়াশায় ফ্লাইট ডিজরাপশন ঠেকাতে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছে। যেটা আগে হয়েছিল, সেটা যেন না হয়, সে বিষয়ে প্রিভেন্টিভ মেজার্সগুলো তারা নিচ্ছে।’