বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে কেন্দ্রীয় ও বিভাগীয় ল্যাবরেটরি হচ্ছে

  •    
  • ৯ নভেম্বর, ২০২১ ১৯:১৯

দেশের বাজারে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে নারায়ণগঞ্জে স্থাপন হতে যাওয়া কেন্দ্রীয় ল্যাবরেটরি হবে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে বড়। এছাড়া আট বিভাগে ল্যাবরেটরি স্থাপন করা হচ্ছে। থাকছে একটি করে ভ্রাম্যমাণ ল্যাবও। এসব ল্যাব যেকোনো এলাকায় খাদ্যপণ্য পরীক্ষা করতে পারবে।

দেশে নিরাপদ খাদ্য বাজারজাত নিশ্চিত করাটা এই সময়ের বড় চ্যালেঞ্জ। শুধু উৎপাদন পর্যায়ে নয়, বাজারজাত এবং বিক্রির সময়ও খাদ্যপণ্য নানাভাবে দূষিত হচ্ছে। অনিরাপদ খাদ্য গ্রহণে ডায়রিয়া থেকে শুরু করে ক্যান্সার পর্যন্ত প্রায় ২০০ ধরনের রোগ হতে পারে।

দেশের বাজারে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতকরণে কেন্দ্রীয়ভাবে একটি ল্যাবরেটরি স্থাপন করা হচ্ছে। নারায়ণগঞ্জে স্থাপন হতে যাওয়া এই ল্যাবরেটরি হবে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সর্ববৃহৎ। এছাড়া প্রতিটি বিভাগে আটটি এবং একটি করে ভ্রাম্যমাণ ল্যাব করা হচ্ছে। এসব ল্যাব সংশ্লিষ্ট বিভাগের যেকোনো এলাকায় খাদ্যপণ্য পরীক্ষা করতে পারবে।

মঙ্গলবার রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে 'নিরাপদ খাদ্য আইন, ২০১৩ ও বিধি-প্রবিধি সম্পর্কে অবহিতকরণ এবং জনসচেতনতা সৃষ্টিতে গণমাধ্যম' শীর্ষক সেমিনারে এসব তথ্য জানানো হয়।

বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ আয়োজিত এই সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. ইকবাল রউফ মামুন।

বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. আব্দুল কাইউম সরকারের সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। বিশেষ অতিথি ছিলেন খাদ্যসচিব ড. মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম।

সেমিনারে জানানো হয়, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য বলছে যে ২০২০ সালে প্রতি ১০ জনে একজন অনিরাপদ খাবার খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছে। বছরে প্রায় চার লাখ ২০ হাজার মানুষ অনিরাপদ খাদ্য খেয়ে মারা যাচ্ছে। সেমিনারে বক্তারা স্ট্রিট ফুডের মান নিরাপদ করতে এখনই পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানান।

খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, দেশ এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। এখন কেউ না খেয়ে মারা যায় না। মানুষের ঘরে ঘরে নিরাপদ খাদ্য পৌঁছে দেয়াটা ছিল আমাদের নির্বাচনি অঙ্গীকার। খাদ্যপণ্য উৎপাদন, পরিবহন ও বিতরণের সঙ্গে জড়িতরা সততার সঙ্গে কাজ করলে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করার মাধ্যমে দেশ অনেকদূর এগিয়ে যাবে। স্থানীয় কোম্পানিগুলোকে ক্রেতাদের আস্থায় আনতে হবে।

মন্ত্রী বলেন, নিরাপদ খাদ্য বিষয়ে অনেক আইন আছে৷ সচেতনতাও বাড়ানো হয়েছে। কিন্তু অপরাধ থামছে না। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে প্রচার কম। শুধু গণমাধ্যম নয়, স্থানীয় প্রতিনিধিদের মাধ্যমে নিরাপদ খাদ্য নিয়ে সচেতনতা তৈরি করতে হবে। প্রাথমিকের পাঠক্রমেও বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে।

সাধন চন্দ্র মজুমদার জানান, খাদ্যের ভেজাল নিরূপণে নারায়ণগঞ্জে এশিয়ার সবচেয়ে বড় ল্যাবরেটরি তৈরি হবে। এছাড়াও আটটি বিভাগে আটটি আধুনিক ল্যাবিরেটরি স্থাপনের কাজ চলছে।

রেস্তোরাঁ কর্মীদের উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ভেজাল ছাড়া খাবার পরিবেশনের অঙ্গীকার করলে আইন আপনার কাছে যাবে না। আপনারা একত্র হয়ে সরকারের বিভিন্ন আইনের সমালোচনা করবেন সেটি ঠিক নয়। একত্র হয়ে কাজ করতে হবে। রান্নায় ব্যবহার করা তেল বাসি, ফিজে বাসি খাবার, রান্নাঘরের পরিবেশ ভালো নয়-এমনটা পাওয়া গেলেই আপনাদের জরিমানা করা হয়।

খাদ্য সচিব নাজমানারা খানম বলেন, নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করার কাজটি ধাপে ধাপে এগুচ্ছে। ইতোমধ্যে সব জেলায় সচেতনতামূলক কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আট বিভাগীয় শহরে নিরাপদ খাবার টেস্টিং ল্যাব স্থাপনের কাজ শেষ পর্যায়ে। খাদ্য উৎপাদন ও খাদ্য ব্যবস্থাপনায় সম্পৃক্ত সব অংশীজনকে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। মাঠ পর্যায়ে জনসচেতনতা বাড়াতে ব্যাপক কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছে। এগুলো বাস্তবায়ন হলে গ্রাহকের কাছে নিরাপদ খাবার পৌঁছে দেয়া আরও সহজ হবে।

চ্যানেল আই’র পরিচালক ও বার্তা প্রধান শাইখ সিরাজ বলেন, ‘খাদ্যকে নিরাপদ করতে সমন্বিত প্রচেষ্টার বিকল্প নেই। মাত্রাতিরিক্ত কীটনাশক ব্যবহার করে কৃষক তার অজান্তেই খাদ্যকে বিষাক্ত করে তুলছে। আবার প্রয়োজনের বেশি সার ব্যবহার করায় মাটির উর্বরতা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। উৎপাদক পর্যায়ে সচেতনতা বাড়াতে যৌথভাবে কৃষি, খাদ্য এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়কে কার্যক্রম গ্রহণের অনুরোধ জানান তিনি।

গণমাধ্যমকর্মীদের নিরাপদ খাদ্যের সংবাদ উপস্থাপনার ওপর অ্যাওয়ার্ড প্রদানের মাধ্যমে উৎসাহী করার সুপারিশ করেন তিনি।

এ বিভাগের আরো খবর