পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ওষুধ ও রসায়ন খাতের কোম্পানি ওরিয়ন ইনফিউশনের আয় সামান্য কমলেও লভ্যাংশ কমায়নি।
২০২০ সালের মতোই গত ৩০ জুন সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য ১০ শতাংশ নগদ, অর্থাৎ শেয়ারে এক টাকা করে লভ্যাংশ দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
সোমবার কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
প্রতিবেদন অনুযায়ী ২০২০ সালের জুলাই থেকে গত জুন পর্যন্ত কোম্পানিটি শেয়ার প্রতি আয় করতে পেরেছে ১ টাকা ৩৭ টাকা পয়সা। আগের বছর শেয়ার প্রতি আয় ছিল ১ টাকা ৪৬ পয়সা। অর্থাৎ আয় কমেছে ৯ পয়সা বা ০.৬৫ শতাংশ।
কোম্পানিটির সম্পদমূল্য সামান্য বেড়েছে। গত এক বছরে শেয়ার মূল্য ব্যাপকভাবে বেড়ে যাওয়া কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদমূল্য অনেকটাই বেড়েছে। ২০২০ সালের জুনে শেয়ার প্রতি ১২ টাকা ৬৬ পয়সা সম্পদ থাকা কোম্পানিটির এই সম্পদ এবার শেয়ার প্রতি বেড়ে হয়েছে ১৩ টাকা ১০ পয়সা।
এবার লভ্যাংশ সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ২৯ নভেম্বর। অর্থাৎ যারা লভ্যাংশ নিতে চান, তাদেরকে সেদিন শেয়ার ধরে রাখতে হবে। লভ্যাংশ চূড়ান্ত করতে বার্ষিক সাধারণ সভা ডাকা হয়েছে আগামী ১৯ ডিসেম্বর।
১৯৯৪ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিটির আয় ২০১৬ সালের পরে অনেকটাই কমে যায়। ওই বছর শেয়ার প্রতি আয় ছিল ৫ টাকা ২৫ পয়সা। এরপর থেকে কোনো বছরই শেয়ার প্রতি ২ টাকা আয় করা যায়নি।
গত বছর শেয়ারে এক টাকা আয় করার আগে চার বছর কোম্পানিটির টাকা ১৪ শতাংশ, অর্থাৎ শেয়ারে এক টাকা ৪০ পয়সা করে লভ্যাংশ দিয়েছিল।
গত এক বছরে কোম্পানিটির শেয়ারের সর্বনিম্ন মূল্য ছিল ৬৫ টাকা, সম্প্রতি তা বেড়ে ১১৩ টাকা ৯০ পয়সায় উঠে যায়।
গত ৬ অক্টোবর থেকে শেয়ার মূল্য কমছে। লভ্যাংশ ঘোষণার দিন তা দাঁড়িয়েছে ৭৮ টাকা ৬০ পয়সা।