আগের বছরের তুলনায় আয়ে উল্লম্ফন হলেও ওষুধ ও রসায়ন খাতের কোম্পানি ওরিয়ন ফার্মা লভ্যাংশ খুবই কম বাড়িয়েছে। করোনার প্রাদুর্ভাবের আগের বছর লভ্যাংশ যা ছিল, তার চেয়েও কম দেয়া হবে এবার।
গত ৩০ জুন সমাপ্ত অর্থবছরের আর্থিক হিসাব পর্যালোচনা করে ১২ শতাংশ নগদ, অর্থাৎ শেয়ার প্রতি ১ টাকা ২০ পয়সা করে লভ্যাংশ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ।
সোমবার কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়।
প্রতিবেদন অনুযায়ী কোম্পানিটি ২০২০ সালের জুলাই থেকে গত জুন পর্যন্ত শেয়ার প্রতি আয় করতে পেরেছে ৪ টাকা ১ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে এই আয় ছিল প্রতি ২ টাকা ৮৪ পয়সা।
অর্থাৎ শেয়ার প্রতি আয় বেড়েছে ১ টাকা ১৭ পয়সা বা ৪১ শতাংশের কিছু বেশি।
আগের বছর কোম্পানিটি ১০ শতাংশ নগদ, অর্থাৎ শেয়ার প্রতি এক টাকা করে বিতরণ করেছিল।
২০১৩ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়ার পর পর আগের বছরের জন্য ২০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা করে। এরপর থেকে টানা পাঁচ বছর শেয়ার প্রতি দেড় টাকা হারে লভ্যাংশ দেয়। গত বছর আয় কমে যাওয়ার পর লভ্যাংশ কমায় তারা।
এবার আয় কেবল গত বছরের চেয়ে নয়, গত চার বছরের মধ্যেই সর্বোচ্চ। তবে গত বছরের আগের সাত বছরের তুলনায় কম এসেছে।
গত এক বছরে শেয়ার মূল্য ব্যাপকভাবে বেড়ে যাওয়া কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদমূল্য অনেকটাই বেড়েছে। ২০২০ সালের জুনে শেয়ার প্রতি ৬৮ টাকা ৬৯ পয়সা সম্পদ থাকা কোম্পানিটির এই সম্পদ এবার শেয়ার প্রতি বেড়ে হয়েছে ৭৯ টাকা ৭৬ পয়সা।
গত এক বছরে কোম্পানিটির শেয়ারের সর্বনিম্ন মূল্য ছিল ৪২ টাকা, সম্প্রতি তা বেড়ে ১১৭ টাকা ৬০ পয়সায় উঠে যায়।
গত ২৬ অক্টোবর থেকে শেয়ার মূল্য কিছুটা কমছে। লভ্যাংশ ঘোষণার দিন তা দাঁড়িয়েছে ৯৬ টাকা ৮০ পয়সা।
এবার লভ্যাংশ সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ২৯ নভেম্বর। অর্থাৎ যারা লভ্যাংশ নিতে চান, তাদেরকে সেদিন শেয়ার ধরে রাখতে হবে। লভ্যাংশ চূড়ান্ত করতে বার্ষিক সাধারণ সভা ডাকা হয়েছে আগামী ১৯ ডিসেম্বর।