জ্বালানি তেলের মূল্য ও বাস ভাড়া বৃদ্ধির প্রতিবাদে রাজধানীর বাইরে মহানগর ও জেলা শহরগুলোতে দুই দিনের বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। আগামী বুধবার ও শুক্রবার এ কর্মসূচি পালিত হবে।
জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির এক মানববন্ধনে এ ঘোষণা দেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, ‘জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি ও বাস ভাড়া বৃদ্ধির প্রতিবাদে আগামী ১০ নভেম্বর ঢাকা মহানগর ব্যতীত সারা দেশের মহানগরগুলোতে এবং আগামী ১২ নভেম্বর জেলা শহরগুলোতে এই বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হবে।’
ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণের আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু, উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল ইসলামসহ আরও অনেকে।
গত বুধবার রাতে ডিজেলের দাম এক লাফে ১৫ টাকা বা ২৩ শতাংশ বাড়িয়ে ৮০ টাকা নির্ধারণ করে জ্বালানি বিভাগ। পরের দিন সকালেই পণ্যবাহী গাড়ির মালিক-শ্রমিকদের সংগঠন ধর্মঘটে যাওয়ার ডাক দেয়। জেলায় জেলায় বাস না চালানোর ঘোষণাও দেয়া হয়।
কেন্দ্রীয়ভাবে বাসমালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন সমিতি বিআরটিএ-এর কাছে ভাড়া যৌক্তিক হারে বাড়াতে আবেদন করে। সে আবেদনে লেখা ছিল, জেলায় জেলায় বাসমালিকরা বলছেন, বিদ্যমান ভাড়ায় যাত্রী পরিবহন করলে তাদের লোকসান হবে। তাই তারা বাস চালাবেন না।
বাস-ট্রাকের দেখাদেখি ধর্মঘটের ডাক দেয় লঞ্চ মালিকেরাও। এতে দেশজুড়ে সৃষ্টি হয় অচলাবস্থা।
এমন পরিস্থিতিতে তেলের দামের সঙ্গে ভাড়া সমন্বয়ের দাবিতে পরিবহন মালিক সমিতির সঙ্গে রোববার বৈঠকে বসে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)।
বৈঠক শেষে জানানো হয়, দূরপাল্লার বাস ভাড়া ২৭ শতাংশ এবং মহানগরে ২৬ দশমিক ৫০ শতাংশ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে বাড়তি ভাড়া সিএনজিচালিত বাসে কার্যকর হবে না।
বিআরটিএ ও মালিকদের এই সিদ্ধান্তের পর পরই রোববার রাতে শুরু হয় কিছু কিছু বাস চলাচল। পুরোদমে শুরু হয় সোমবার সকাল থেকে।
ডিজেলচালিত বাসের ভাড়া ২৭ শতাংশ বাড়ানো হলেও অতিরিক্ত ভাড়া নিচ্ছে সিএনজিচালিত বাসও। কোনো কোনো রুটে নেয়া হচ্ছে অতিরিক্ত ৫০ শতাংশ ভাড়া।
বেশির ভাগ চালক ও হেল্পারই দাবি করছেন তাদের বাস ডিজেলচালিত। এই অজুহাত দিয়ে নেয়া হচ্ছে বাড়তি ভাড়া। তাদের কাছে যেন যাত্রীরা অসহায়।