ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে গানের দল মেঘদলের বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহার করা হয়েছে।
২ নভেম্বর মামলার বাদী আইনজীবী ইমরুল হাসান মামলাটি প্রত্যাহারের আবেদন করেন। সেদিনই ঢাকার মহানগর হাকিম মইনুল ইসলাম আবেদন আমলে নিয়ে মামলাটি প্রত্যাহারের আদেশ দেন।
সোমবার মামলার বাদী ঢাকা জজকোর্টের আইনজীবী ইমরুল হাসান বিষয়টি নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, ‘আমি মামলাটি ২ নভেম্বর প্রত্যাহার করেছি, তবে এ বিষয়ে আর কাউকে কোনো বক্তব্য দিতে চাই না।’
গত ২৮ অক্টোবর মেঘদলের সাতজনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করেন আইনজীবী ইমরুল হাসান। আদালত বাদীর জবানবন্দি নিয়ে আদেশের জন্য ৩১ অক্টোবর তারিখ দেয়।
৩১ অক্টোবর পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে আগামী ১ ডিসেম্বর প্রতিবেদন দেয়ার নির্দেশ দেয় আদালত।
মামলায় মেঘদলের ভোকাল শিবু কুমার শিল, মেজবা-উর রহমান সুমন, গিটারিস্ট- ভোকাল রাশিদ শরীফ শোয়েব, বেজ গিটারিস্ট এম জি কিবরিয়া, ড্রামস আমজাদ হোসেন, কীবোর্ড তানভীর দাউদ রনি ও বাঁশি সৌরভ সরকারকে আসামি করা হয়।
মামলার অভিযোগে ইমরুল হাসান জানান, ২৬ অক্টোবর তিনি বাসায় অবস্থানের সময় সকাল ৭টার দিকে ইউটিউবে ঢোকেন। বিভিন্ন ভিডিও দেখার সময় দেখতে পান প্রিয় নবী হযরত মোহাম্মদ (সা.)-এর একটি দোয়া বা ইসলামি প্রার্থনা তথা তালবিয়া নিয়ে ইসলামে নিষিদ্ধ বাদ্যবাজনা তথা আধুনিক মিউজিক ইন্সট্রুমেন্ট দিয়ে বিকৃত সুরে গান আকারে গাওয়া হচ্ছে।
অভিযোগে বলা হয়েছে, গানের অনুষ্ঠানটি টিএসসিতে ভাস্কর্যের সামনে করা এবং পেছনে সাইনবোর্ড আকারে লেখা ছিল সহিংসতা। গানের মধ্যে আরও দেখা যায় যে, পবিত্র কালিমার অংশও গানের তালে পাঠ করা হয়। এ গান তার ধর্মানুভূতিতে আঘাত হেনেছে। এ জন্য তিনি মামলার আবেদন করেছেন।
মামলা করার পর থেকেই বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। বাদী ইমরুল এক বছরের মধ্যে এমন তিনটি মামলা করেছেন বলেও সংবাদমাধ্যমের খবরে উঠে আসে। এমন অবস্থায় তিনি মামলাটি প্রত্যাহার করে নিলেন।