বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

চীন ইস্যুতে মোদির পদত্যাগ চাইল কংগ্রেস

  •    
  • ৭ নভেম্বর, ২০২১ ১৭:৫৩

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেদনের উদ্ধৃতি দিয়ে কংগ্রেস মুখপাত্র বলেন, ‘যেখানে দাবি করা হয়েছে যে চীন অরুণাচল প্রদেশের ৪ দশমিক ৫ কিলোমিটার ভেতরে প্রবেশ করেছে, সেখানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গোটা বিশ্বকে বলছেন যে কেউ ভারতীয় ভূখণ্ডে প্রবেশ করেনি।’

“ভারতের পূর্ব লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর ১৮ মাসের সামরিক অচলাবস্থা সমাধানে বেইজিং ও নয়াদিল্লির মধ্যে আলোচনা ‘ধীরে ধীরে’ অগ্রসর হচ্ছে। আর চীন তার দাবিগুলো ভারতের ওপর চাপিয়ে দেয়ার লক্ষ্যে ‘ক্রমবর্ধমান ও কৌশলগত পদক্ষেপ’ নিচ্ছে।”

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দপ্তর ৩ নভেম্বর প্রকাশিত বার্ষিক প্রতিবেদনে এমনটা উল্লেখ করেছে। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, “চীনের সামরিক বাহিনী তিব্বত স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল ও অরুণাচল প্রদেশের মধ্যে ‘বিরোধপূর্ণ অঞ্চলে এক শ বাড়ির একটি বড় বেসামরিক গ্রাম’ তৈরি করেছে।”

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দপ্তরের এই প্রতিবেদনের উদ্ধৃতি দিয়ে কংগ্রেস শনিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির পদত্যাগ দাবি করেছে। একই সঙ্গে তাকে চীন সম্পর্কে দেয়া তার ‘ক্লিন চিট’ প্রত্যাহার করতে বলেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেদনের উদ্ধৃতি দিয়ে কংগ্রেস মুখপাত্র বলেন, ‘যেখানে দাবি করা হয়েছে যে চীন অরুণাচল প্রদেশের ৪ দশমিক ৫ কিলোমিটার ভেতরে প্রবেশ করেছে, সেখানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গোটা বিশ্বকে বলছেন যে কেউ ভারতীয় ভূখণ্ডে প্রবেশ করেনি।’

কংগ্রেসের পবন খেরা বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীকে অবশ্যই উত্তর দিতে হবে এবং চীনের সঙ্গে আমাদের পুরো সীমান্তে ২০২০ সালের এপ্রিল মাসের আগের অবস্থায় ফিরে যাওয়া কত দিনে সম্ভব হবে তার সময়সীমা দিতে হবে। তা সে দেপসাং, গোগরা হট স্প্রিংস, দৌলত বেগ ওল্ডি অথবা অরুণাচল প্রদেশ হোক না কেন।’

পবন খেরা বলেন, ‘চীনের অনুপ্রবেশের বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসে সে দেশের প্রতিরক্ষা দপ্তরের বার্ষিক প্রতিবেদনে নিশ্চিত করা হয়েছে। সীমান্তের ওপারের গ্রামগুলো দ্বৈত ব্যবহারের জন্য, যেগুলো শুধু বেসামরিক জনসংখ্যাই নয়, চীনা সেনাবাহিনীর সেনানিবাস হিসেবে কাজ করে।’

কংগ্রেসের এই নেতা আরো বলেন, ‘অরুণাচল প্রদেশের বিজেপি সাংসদ তাপির গাও ২০২০ সালের জুনে প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি লিখে ভারতীয় ভূখণ্ডে চীনের সীমা লঙ্ঘন সম্পর্কে সতর্ক করেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সীমা লঙ্ঘন অস্বীকার করেছেন এবং মোদি চীনকে ‘ক্লিন চিট’ দেয়ার ১৭ মাস পরও পরিস্থিতির পরিবর্তন হয়নি।’

কংগ্রেস বলেছে, ‌“ওই ‘‌‌‌‌‌ক্লিন চিট’ আমাদের ইতিহাসের একটি অন্ধকার অধ্যায়। কারণ চীন এটি সারা বিশ্বে ব্যবহার করেছে। চীন এই ‘ক্লিন চিট’ দ্বারা উৎসাহিত হয়েছিল।”

২০২০ সালের এপ্রিল থেকে পূর্ব লাদাখে ভারতীয় ও চীনা সৈন্যরা উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছে। এমনকি সেখানে একটি রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়, যাতে অনেক সৈন্য নিহত হয়েছিল।

এ বিভাগের আরো খবর