বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বিকেলে বাসায় ফিরবেন খালেদা জিয়া

  •    
  • ৭ নভেম্বর, ২০২১ ১১:৩৭

শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে, কিছুটা সুস্থ বোধ করায় খালেদা জিয়াকে রোববার বিকেলে তার গুলশানের বাসায় নেয়া হবে।

রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে বিকেলে তার গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় নেয়া হবে।

খালেদা জিয়ার শারীরিক পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চাইলে রোববার বিএনপির চেয়ারপারসনের প্রেস উইং সদস্য শায়রুল কবির খান তার বাসায় ফেরার এ তথ্য জানান।

গত ১২ অক্টোবর জ্বর আসলে খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।

গত ২৫ অক্টোবর খালেদা জিয়ার একটা অস্ত্রোপচার করা হয়। এরপর তার বায়োপসি পরীক্ষা করা হয়। পরে বায়োপসি যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে পাঠানো হয় এ বিষয়ে আরও স্বচ্ছ ধারণা পাওয়ার জন্য।

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে, কিছুটা সুস্থ বোধ করায় তাকে বাসায় নেয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে।

গত ১১ এপ্রিল খালেদা জিয়ার করোনার রিপোর্ট পজিটিভ আসে। শুরুর দিকে গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় থেকেই চিকিৎসা নেন বিএনপির চেয়ারপারসন। বিএনপি থেকে একাধিক বার বলা হয়, করোনায় আক্রান্ত হলেও তেমন কোনো জটিলতা ছিল খালেদা জিয়ার।

পরে ১৫ এপ্রিল এভারকেয়ার হাসপাতালে সিটি স্ক্যান করানো হয় খালেদা জিয়ার। সে রিপোর্ট ভালো আসে বলে বিএনপি থেকে জানানো হয়।

রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে খালেদা জিয়ার করোনার নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এই রিপোর্টও পজিটিভ আসে।

এরপর ২৮ এপ্রিল সিটি স্ক্যান করানোর জন্য আবার এভারকেয়ারে নিয়ে যাওয়া হয় বিএনপি প্রধানকে। তার চিকিৎসায় গঠন করা হয় একটি মেডিক্যাল বোর্ড।

৭৬ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দুর্নীতির দুই মামলায় দণ্ডিত। দণ্ড নিয়ে তিন বছর আগে তাকে কারাগারে যেতে হয়।

২০০৮ সালের ৮ মার্চ জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় পাঁচ বছরের কারাদণ্ড হয় খালেদার। পরে উচ্চ আদালত সাজা বাড়িয়ে ১০ বছর করা হয়। ওই বছরই জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় তাকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়।

২০২০ সালের মার্চে দেশে করোনা সংক্রমণ দেখা দেয়ার পর বিএনপি নেত্রীকে দেশের বাইরে না যাওয়া ও বাড়িতে বসে চিকিৎসা নেয়ার শর্তে ছয় মাসের জন্য দণ্ড স্থগিত করিয়ে মুক্তি দেয়া হয়। এরপর দুই দফা বাড়ানো হয় দণ্ড স্থগিতের মেয়াদ।

সাবেক প্রধানমন্ত্রীর আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, হাঁটুর জটিলতা ছাড়াও নানা ধরনের রোগ আছে বলে তার দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। ২০১৭ সালে যুক্তরাজ্যে তার চোখেও অপারেশন করা হয়।

এ বিভাগের আরো খবর