রাষ্ট্রায়ত্ব পাঁচ ব্যাংকের অফিসার ইন ক্যাশ পদের নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ উঠেছে। ২০১৮ সালে সার্কুলার হওয়া এ পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে কয়েক হাজার চাকরিপ্রত্যাশী।
তারা বলছেন, পরীক্ষার ৪০ মিনিট পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঘুরছে এ নিয়োগের উত্তরপত্র। ফলে পরীক্ষার্থীরা নিয়োগ পরীক্ষা বতিল চান।
শনিবার রাজধানীর বিভিন্ন কেন্দ্রে বেলা ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
মিরপুর আইডিয়াল স্কুলে নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন তানভীর রহমান।
তিনি বলেন, ‘১০০ মার্কসের পরীক্ষায় অনেকে ৩০ মিনিটে ১০০টি উত্তর দাগিয়েছে। এখানে নেগেটিভ মার্কিংও ছিল, যা আমার কাছে অস্বাভাবিকই মনে হয়েছে।’
একই কথা বললেন পরীক্ষায় অংশ নেয়া আশরাফুল রানা।
তিনি বলেন, ‘নিয়োগ পরীক্ষা হয়েছে বেলা ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত। এ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র বাইরে আনা সম্ভব না। বের হয়ে অনেকের কাছে দেখলাম উত্তরপত্র।’
শামীম হোসেন বলেন, ‘এক্সাম হল থেকে বের হয়ে আমার রুমে আসতে আসতে আমি অবাক। ৩০ মিনিটের মধ্যে উত্তরপত্র ফাঁস হলো। এ বিষয়ে সত্যিই আমি নির্বাক।’
পরীক্ষার্থী নুরুল ইসলামও একই অভিযোগ করেন।
তিনি বলেন, ‘পরীক্ষা হল থেকে বের হয়েই দেখি অনেকের হাতে চিরকুট। যেখানে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর লেখা, যা কোনো ভাবেই কাম্য নয়। অবিলম্বে এ পরীক্ষা বাতিল করতে হবে।’
অভিযোগের বিষয়ে ব্যাংকার্স সিলেকশন কমটির সদস্য সচিব আজিজুর রহমান বলেন, ‘কোনো ধরনের প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা ঘটেনি। সারাদিনে এমন অভিযোগ আমার কাছে একটিও আসেনি। আপনিই প্রথম যে এটি আমার কাছে জানালেন।’
সামাজিকমাধ্যমে উত্তরপত্রের ছবি ছড়িয়ে পড়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এমনটি প্রতিবারই ঘটে। একটি চক্র এমন জিনিস শেয়ার করে মানুষকে বিভ্রান্ত করে, যা সত্য নয়। তবে বিষয়টি আমরা পর্যবেক্ষণ করব। যদি কিছু হয় তবে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’