শরীয়তপুর সদরের রুদ্রকর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী সিরাজুল ইসলামের ওপর ককটেল হামলা হয়েছে। এতে প্রার্থীর চোখ হারানোর শঙ্কা করছেন চিকিৎসক।
শুক্রবার রাত ১১টার দিকে রুদ্রকর ইউনিয়নের সুবচনি বাজারে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে দলীয় বিদ্রোহী প্রার্থী হাবিবুর রহমান ঢালী হামলা চালান বলে অভিযোগ ওঠে।হামলায় সিরাজুল ইসলামের ডান চোখ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য রাত সাড়ে ১২টার দিকে তাকে ঢাকায় নেয়া হয়। ককটেল হামলায় ১৪ জন আহত হয়েছেন। তাদের শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সাইফুর রহমান জানান, সিরাজুল ইসলামের চোখে বড় ধরনের আঘাত লেগেছে। তার চিকিৎসা শরীয়তপুরে সম্ভব নয়, তাকে ঢাকায় নেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। চোখের ক্ষতটা গভীর, ডান চোখটি নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
১১ নভেম্বর শরীয়তপুর সদরের রুদ্রকর ইউপিতে ভোট হবে।
আওয়ামী লীগ সূত্র জানায়, ওই ইউনিয়নে নির্বাচনে নৌকা পেয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা সিরাজুল ইসলাম ঢালী। আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন বর্তমান চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত সভাপতি হাবীবুর রহমান ঢালী।
৩০ অক্টোবর দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতির পদ থেকে তাকে বহিষ্কার করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শুক্রবার রুদ্রকরের নয়াকান্দি এলাকায় গণসংযোগ করেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী সিরাজুল ইসলাম। রাত সাড়ে ১০টার দিকে কর্মীদের নিয়ে তিনি সুবচনি বাজারে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে আসেন। রাত ১১টার দিকে ওই কার্যালয়ে ককটেল ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। এ সময় আওয়ামী লীগ কার্যালয় এবং শেখ হাসিনা ও বঙ্গবন্ধুর ছবি ভাঙচুর করা হয়।
স্থানীয়রা জানান, আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে লক্ষ করে ককটেল নিক্ষেপ করা হয়। এতে তার ডান চোখে আঘাত লাগে। নেতা কর্মীরা তাকে উদ্ধার করে রাত সাড়ে ১১টার দিকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে নেন। তার চোখের অবস্থার অবনতি হলে রাতেই ঢাকায় পাঠানো হয়। হামলায় সিরাজুল ইসলামের ১৪ সমর্থক আহত হয়েছেন।
শরীয়তপুর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, রুদ্রকর ইউপি নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হাবিবুর রহমান ঢালী তার সন্ত্রাসীবাহিনী নিয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর ওপর হামলা করেছেন। তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ককটেল নিক্ষেপ করা হয়েছে। চিকিৎসক বলেছেন, তার ডান চোখ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে স্বতন্ত্র প্রার্থী হাবিবুর রহমান ঢালীর মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি রিসিভ করেননি।
শরীয়তপুর সদরের পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.আক্তার হোসেন বলেন, রাতে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
এ ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে। হামলাকারীদের আটকে অভিযান চলছে বলে জানান ওসি।।