বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘সুযোগের সদ্ব্যবহার করছেন অটোরিকশার চালকরা’

  •    
  • ৬ নভেম্বর, ২০২১ ১৪:৪৯

ব্যবসায়ী আল আমিন বলেন, ‘সুযোগের সদ্ব্যবহার করছেন অটোরিকশার চালকরা। একজনের ভাড়া চায় ১৫০ থেকে ২০০ টাকা। অথচ অন্য সময় এই ভাড়া ৭০ টাকা। এটা যেন মগের মুল্লুক। ইচ্ছা হলো তেলের দাম বাড়াল। বাসমালিকরা ভাড়া বাড়ানোর পাঁয়তারা করছে, বেড়েও যাবে নিশ্চয়।’

পরিবহন মালিক সমিতির ডাকা ধর্মঘটে দুই দিন ধরে বাস বন্ধ থাকায় চাপ বেড়েছে ট্রেনে। অনেকেই টিকিট পাচ্ছেন না। এই সুযোগে বাড়তি ভাড়ায় যাত্রী পরিবহন করছে অটোরিকশার চালকরা।

যাত্রীরা বাড়তি ভাড়া নিয়ে ক্ষোভ জানালেও অনেকটা বাধ্য হয়েই উঠতে হচ্ছে ব্যাটারিচালিত ও সিএনজিচালিত অটোরিকশায়। রাজশাহী থেকে নাটোর, নওগাঁ ও চাঁপাইনবাবগঞ্জে যাতায়াত করছেন এসব ছোট যানবাহনে।

রাজশাহীর গোদাগাড়ীর মো. ওবায়দুল্লাহ চাকরি করেন রাজশাহী শহরে। প্রতিদিন বাড়ি থেকে অফিসে আসা-যাওয়া করেন।

তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, “এত দিন ৩৫ থেকে ৪০ টাকায় বাড়ি থেকে অফিসে যাতায়াত করতাম। ধর্মঘট ডাকার পর সেই ভাড়া ৬০ থেকে ৭০ টাকা নিচ্ছে। এখন তো অটোচালকদের কদর বেশি। তারা বলছেন, ‘এই ভাড়ায় গেলে চলেন, না গেলে না যান'।”

রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনের সুপারিনটেনডেন্ট আব্দুল করিম জানান, ট্রেনের টিকিটের এখন সংকট চলছে। আগামী ১০ তারিখ পর্যন্ত সব টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে।

রাজশাহী থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ যাওয়ার জন্য ট্রেনের টিকিট কাটতে এসেছিলেন ব্যবসায়ী আল আমিন। টিকিট না পেয়ে অটোরিকশার ভাড়া নিয়ে চালকের সঙ্গে দরাদরি করছিলেন।

তিনি বলেন, ‘সুযোগের সদ্ব্যবহার করছেন অটোরিকশার চালকরা। একজনের ভাড়া চায় ১৫০ থেকে ২০০ টাকা। অথচ অন্য সময় এই ভাড়া ৭০ টাকা। এটা যেন মগের মুল্লুক। ইচ্ছা হলো তেলের দাম বাড়াল। বাসমালিকরা ভাড়া বাড়ানোর পাঁয়তারা করছে, বেড়েও যাবে নিশ্চয়।

‘আবার অটোরিকশাগুলো এখন সুযোগ পেয়ে দুই থেকে তিন গুণ ভাড়া আদায় করছে। সাধারণ মানুষের আসলে কিছুই বলার নেই।’

সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী, বুধবার রাত ১২টা থেকে ডিজেল ও কেরোসিনের দাম লিটারে বেড়ে গেছে ১৫ টাকা। এতে খরচ বেড়ে যাওয়ায় ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান ও লরির মালিকরা শুক্রবার ভোর থেকে পণ্য পরিবহন বন্ধের ঘোষণা দেয়। এরপর পরিবহন মালিক সমিতিও শুক্রবার থেকে বাস চালানো বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়।

বাসমালিকদের সংগঠন রাজশাহী সড়ক পরিবহন গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান বলেন, ‘কেন্দ্রীয় নেতারা রোববার সকালে এটা নিয়ে আলোচনায় বসবেন। নতুন সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত রাজশাহীতে বাস-ট্রাক চলবে না।

‘তেলের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ায় আমরা বাধ্য হয়েই রাস্তায় চলাচল বন্ধ করেছি। আমরা ভাড়া বাড়াতে চাই না। এতে মানুষের ওপর প্রভাব পড়বে। আমরা চাই তেলের দাম কমানো হোক। আশা করছি কাল একটা ইতিবাচক সিদ্ধান্ত পেতে পারি।’

রাজশাহী জেলা ট্রাক মলিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সাদরুল ইসলাম বলেন, ‘ফেডারেশনের ডাকে কর্মবিরতি চলছে। শুক্রবার থেকে রাজশাহীর কোনো ট্রাক চলেনি। কেন্দ্রীয় নেতারা নতুন কোনো সিদ্ধান্ত না জানালে ট্রাক রাস্তায় নামবে না।’

এ বিভাগের আরো খবর