বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ইউপি নির্বাচন: দম ফেলার সময় নেই ছাপাখানা ও মাইক ব্যবসায়ীদের

  •    
  • ৬ নভেম্বর, ২০২১ ০৮:৫১

ব‍্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মেহেরপুর জেলায় ৩০টির মতো ছাপাখানা, ১৪০টির মতো ডেকোরেটর ও শ খানেক মাইকের দোকান আছে। সবাই এখন ব‍্যস্ত সময় পার করছেন।

জাতীয় ও স্থানীয় সরকার নির্বাচন মানেই প্রচার। আর প্রচারের সঙ্গে আসে পোস্টার, লিফলেট, মাইকিং ও নির্বাচনি অফিস।

নির্বাচনের সময় তাই দম ফেলার সময় থাকে না ছাপাখানা, মাইক ও ডেকোরেশন ব্যবসায়ীদের। তবে জাতীয় নির্বাচনের চেয়ে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে শত শত প্রার্থী থাকায় চাপ থাকে সবচেয়ে বেশি।

মেহেরপুরে আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তাই এখন ব‍্যস্ত সময় পার করছেন এসব ব্যবসার সঙ্গে জড়িতরা। সারা রাত কাজ করেও মেটানো যাচ্ছে না চাহিদা।

জেলায় বিভিন্ন ইউপি নির্বাচনে এরই মধ্যে প্রতীক পেয়েছেন প্রার্থীরা। এরপরই শুরু হয়েছে ছাপাখানা, মাইক ও ডেকোরেটরের দোকানগুলোতে প্রার্থীদের দৌড়াদৌড়ি।

এসব ব্যবসায় জড়িতরা জানান, প্রার্থীরা মাইকের ঘরে গিয়ে কেউ বলছেন আগামী এক সপ্তাহের জন‍্য মাইক বুক থাকল। কেউ আবার ডেকোরেটরের ঘরে গিয়ে বলছেন, আমার এলাকায় নির্বাচনি অফিসটা হতে হবে সবার চেয়ে সেরা।

আর ছাপাখানায় গিয়ে প্রার্থীরা বলছেন, পোস্টারে ছবিটা যেন সুন্দর হয়; প্রয়োজনে টাকা বেশি লাগুক।

ব‍্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, জেলায় ৩০টির মতো ছাপাখানা, ১৪০টির মতো ডেকোরেটর ও শ খানেক মাইকের দোকান আছে। সবাই এখন চরম ব‍্যস্ত সময় পার করছেন।

জেলার অন্যতম ছাপাখানা মা প্রেস হাউজের মালিক হুরমত আলী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘গত কয়েক বছর ব‍্যবসার অবস্থা ভালো যায়নি। তবে এবার আসন্ন ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রিন্টিংয়ের ব‍্যবসা বেশ জমে উঠেছে। মনে হচ্ছে এটা যেন কোনো জাতীয় নির্বাচন হচ্ছে। সারা রাত কাজ করেও কাজ শেষ করতে পারছি না।’

মাইক ব‍্যবসায়ী তুহিন বলেন, ‘কিছু দিন ব‍্যবসার অবস্থা এমন খারাপ গেল। আমি বাধ‍্য হয়ে মাইকের পাশাপাশি চায়ের দোকান দিয়েছি। আর এবার নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আমার মাইক অলরেডি দেড় সপ্তাহের জন‍্য বুক হইয়ি গিছে। তাও ৩৫০ টেকার মাইক এখন ৫৫০ টেকা ভাড়া প্রতিদিন হিসাবে।’

ওবাই ডেকোরেটরের মালিক ওবায়দুল নিউজবাংলাকে বলেন, ‘করোনা মহামারিতে আমরা না খেয়ে থাকার মতো অবস্থা গেছে। কেউ আমাদের খোঁজ রাখেনি। এখন নেতা-কর্মীরা আমাদের কাছে এসে অনুরোধ করে বলছে, আমার নির্বাচনি অফিসটা দেখতে যেন সবচেয়ে সুন্দর হয়। প্রয়োজনে টাকা বেশি লাগুক।

‘আমরা এমন অফিসও ডেকোরেশনের কাজ করেছি যেখানে ভাড়াই ৪০ হাজার টাকা। আমরা সারা দিনই ব‍্যস্ত সময় পার করছি।’

এ বিভাগের আরো খবর