বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

স্বতন্ত্র ও নৌকার সমর্থকদের সংঘর্ষ: আসামি ৫ শতাধিক

  •    
  • ৫ নভেম্বর, ২০২১ ১৬:২১

স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে মিছিল নিয়ে পথসভায় যাওয়ার সময় মনসাতলী এলাকায় নৌকার পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা নিয়ে দ্বন্দ্বের শুরু। এর জেরে নৌকার সমর্থকরা সন্ধ্যা ৭টার দিকে লাকুরতলা এলাকায় তোফাজ্জেল হোসেন নামের এক স্বতন্ত্র সমর্থককে মারধর করেন।

বরগুনার এম বালিয়াতলী ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে নৌকা ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় নামীয় ও অজ্ঞাতপরিচয় পাঁচ শতাধিক ব্যক্তিকে আসামি করে মামলা হয়েছে।

বরগুনা থানায় বৃহস্পতিবার রাতে সগীর হোসেন নামে একজন মামলাটি করেন। এতে ৬৪ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতপরিচয় চার-পাঁচ শতাধিক ব্যক্তিকে আসামি করা হয়। মামলায় এখন পর্যন্ত সাতজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম তারিকুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সদর থানা উপপরিদর্শক (এসআই) সোহেল খান শুক্রবার দুপুরে জানান, মামলায় নজরুল ইসলাম, সুমন হোসেন, আব্বাস, জাকির হোসেন, শিপন বাদল, মাসুদসহ সাতজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ও রাতে নৌকার প্রার্থী নাজমুল ইসলাম নাসির ও আনারস প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুল বারী বাদলের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে দুই পক্ষের অর্ধশতাধিক কর্মী-সমর্থক আহত হন।

শুক্রবার দুপুরে এ নিয়ে বরগুনা প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন নৌকার প্রার্থী নাজমুল ইসলাম নাসির। হামলার ঘটনায় বাবুগঞ্জ পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলামকে অপসারণের দাবি জানান তিনি।

নাসিরের অভিযোগ, স্বতন্ত্র প্রার্থী বাদলের হয়ে হামলায় সহযোগিতা করেছেন পুলিশ কর্মকর্তা ফরিদ।

নৌকার প্রার্থীর দাবি, স্বতন্ত্র প্রার্থী বাদল পরিকল্পিতভাবে তার সমর্থকদের ওপর হামলা করেছেন। এ উদ্দেশ্যে বাদল আগে থেকেই বাড়িতে দেশীয় অস্ত্র মজুত করে রেখেছিলেন।

বৃহস্পতিবার রাতের হামলায় তার পক্ষের ৪৭ জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ধারালো অস্ত্রের আঘাত ও পিটুনিতে ১২ জনকে আহত হয়েছেন। তাদের একজনকে বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ও বাকিদের বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এ ছাড়া ৩৫ জন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।

তবে স্বতন্ত্র প্রার্থী বাদল বলেন, ‘প্রচারের শুরু থেকেই নৌকার কর্মী-সমর্থকরা বিভিন্ন স্থানে আমার কর্মীদের মারধর, হুমকি ও প্রচারে বাধা দিয়েছে আসছে। গতকালের ঘটনাও নৌকার প্রার্থীর ইন্ধনে তার সমর্থকরা ঘটিয়েছে।

‘নৌকার প্রার্থীর উপস্থিতিতে আমার কর্মী-সমর্থকদের ওপর হামলা করা হয়। এতে আমার ২০ সমর্থক আহত হয়েছেন। ভয়ে তারা চিকিৎসা পর্যন্ত নিতে পারছেন না।’

স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে মিছিল নিয়ে পথসভায় যাওয়ার সময় মনসাতলী এলাকায় নৌকার পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা নিয়ে দ্বন্দ্বের শুরু। এর জেরে নৌকার সমর্থকরা সন্ধ্যা ৭টার দিকে লাকুরতলা এলাকায় তোফাজ্জেল হোসেন নামের এক স্বতন্ত্র সমর্থককে মারধর করেন।

সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে পরীরখাল এলাকা থেকে নৌকার সমর্থকরা পথসভায় যাওয়ার সময় স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকরা হামলা করে। এ সময় সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ১২ জন আহত হন।

তারা আরও জানান, রাত ১০টার পরীরখাল বাজার থেকে পুলিশ পাহারায় কর্মীদের নিয়ে ফেরার পথে বাদলের সমর্থকরা পেছন থেকে ফের নৌকার সমর্থকদের ওপর হামলা চালায়।

এতে নৌকার প্রার্থী নাজমুল ইসলাম নাসির, ওই ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ সেলিমনহ অর্ধশতাধিক নৌকার সমর্থক আহত হন। স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকরা এ সময় রিপন, শাখাওয়াত, শাওন, আলমগীর, কামাল নামে পাঁচজনকে কুপিয়ে জখম করে।

এদিকে আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম সরওয়ার শাহীন অভিযোগ করেছেন, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে লাকুরতলা এলাকায় নৌকার কর্মীরা তার মাইক ভাঙচুর ও দুজন কর্মীকে মারধর করে আহত করেছে। ওই দুজন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে।

বাবুগঞ্জ পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমি আমার ওপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালনের চেষ্টা করেছি। শত শত মানুষের মধ্যেও আমি আমার জায়গা থেকে দায়িত্ব নিয়ে নৌকার প্রার্থীকে সুরক্ষা দিয়েছি। এরপরও যদি অভিযোগ আসে, তবে সেটা দুঃখজনক।’

বরগুনা সদর থানার ওসি কে এম তারিকুল ইসলাম জানান, খবর পাওয়ার পর পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। বর্তমানে ওই এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ কঠোর অবস্থানে রয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর