মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়ির সামনে অবস্থান নিয়েছিলেন এক নারী।
আলীনগর ইউনিয়নের জাঙ্গালীয়া গ্রামের ওই বাড়ির সামনের রাস্তায় বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার থেকে তিনি অনশনে বসে ছিলেন। ফেসবুকে সেই ছবি ভাইরালও হয়েছে। পরে পুলিশ গিয়ে দুপুরে তাকে বুঝিয়ে বাড়ি পাঠিয়েছেন।
ওই নারী জানান, তার প্রেমিকের নাম আব্দুস সালাম। তিনি হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ থানার কনস্টেবল পদে চাকরি করেন। শুক্রবার তিনি গোপনে বিয়ে করতে যাচ্ছিলেন। অনশনের খবর ছড়িয়ে পড়লে তা ভেঙে যায়।
তিনি আরও জানান, প্রেমিক সালাম তার সাবেক স্বামীর চাচাতো ভাই। তাদের প্রেমের সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। সালামের পরামর্শেই তিনি স্বামীকে তালাক দিয়েছিলেন। পরে বেঁকে বসেন সালাম।
বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মীমাংসার চেষ্টা হলেও, মত বদলাননি সালাম। হবিগঞ্জের পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগও দিয়েছেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘শুক্রবার অন্য জায়গায় সালামের বিয়ে করার কথা। সেই খবরেই অনশনে বসেছিলাম। এ সময় আমাকে মারধর সালামের পরিবার।’
অভিযোগ অস্বীকার করে সালামের বাবা ও তার দুই ভাবি জানান, সালাম এই নারীকে বিয়ে করতে রাজি নন। তাই তারা অন্যত্র বিয়ে ঠিক করেছেন।
স্থানীয় ইউপি সদস্য তাজউদ্দিন বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়ভাবে সালিশ হয়েছিল। সেখানে তাদের বিয়ের সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু সালাম রায় মানেনি। এখন আর আমাদের কিছু করা নেই।’
তিনি আরও জানান, এই ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর সালামের বিয়ে ভেঙে গেছে।
কমলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) সোহেল রানা বলেন, বিষয়টি শুনে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়েছিল। তারা সহায়তার আশ্বাস দিলে, ওই নারী অনশন ভেঙে বাড়ি চলে যান।