বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি প্রত্যাহার চায় ক্যাব

  •    
  • ৪ নভেম্বর, ২০২১ ১৮:৪৬

সংগঠনটির সহ-সভাপতি এস এম নাজের হোসাইন বিবৃতিতে বলেন, ‘ডিজেল ও কেরোসিনের মূল্য বৃদ্ধির কারণে পণ্য পরিবহন ও যাতায়াত খাতে ব্যয় বাড়া ছাড়াও প্রতিটি পণ্য ও সেবার দাম বাড়িয়ে দিয়ে জনজীবনে মারাত্মক দুর্ভোগ সৃষ্টি করবে ব্যবসায়ীরা।’

জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি নিত্যপণ্যের বাজারে আগুন ছড়াবে বলে জানিয়েছে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)।

বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে সংগঠনটি বলেছে, এমনিতেই নিত্যপণ্যের দাম বাড়তি। বিশেষ করে ভোজ্যতেল, চাল, চিনি, সবজির দামের ঊর্ধ্বগতিতে সাধারণ মানুষের জীবন-জীবিকায় নাভিশ্বাস উঠেছে। এর সঙ্গে নতুন করে যুক্ত হলো- জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি। গ্যাস, বিদ্যুৎ পানির মূল্যও দফায় দফায় বাড়ানো হয়েছে। বেড়েছে ডলারের দামও। কয়েকদিন আগে সীমিত আয়ের মানুষের ভরসাস্থল টিসিবি’র পণ্যের দামও বাড়ানো হয়েছে।

এ অবস্থায় কেরোসিন এবং ডিজেলের দাম বাড়ানো ভোক্তা পর্যায়ে ‘মারাত্মক বিরূপ প্রভাব’ ফেলবে বলে মনে করছে ক্যাব।

সংগঠনটির সহ-সভাপতি এস এম নাজের হোসাইন বিবৃতিতে বলেন, ‘ডিজেল ও কেরোসিনের মূল্য বৃদ্ধির কারণে পণ্য পরিবহন ও যাতায়াত খাতে ব্যয় বাড়া ছাড়াও প্রতিটি পণ্য ও সেবার দাম বাড়িয়ে দিয়ে জনজীবনে মারাত্মক দুর্ভোগ সৃষ্টি করবে ব্যবসায়ীরা।’

নিত্যপণ্যের অস্বাভাবিক যন্ত্রণা থেকে সাধারণ মানুষকে রেহাই দিতে সরকারকে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানান তিনি।

বুধবার রাতে ডিজেল ও কেরোসিনের দাম লিটারে ১৫ টাকা করে বাড়িয়েছে সরকার। এখন প্রতি লিটার ডিজেল ও কেরোসিন ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

ক্যাবের বিবৃতিতে বলা হয়, আর্ন্তজাতিক বাজারে দামবৃদ্ধির অজুহাতে দেশে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে নিত্যপণ্যের বাজারে আগুন লেগে যাবে। হু হু করে সকল খাদ্যপণ্য ও সেবাসমূহের মূল্য বেড়ে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে যাবে। সরকার জ্বালানী খাতে ভুর্তকি হ্রাসের কথা বললেও প্রকৃতপক্ষে এর প্রতিক্রিয়ায় সাধারণ মানুষের জীবন-জীবিকা দুর্বিসহ হয়ে উঠবে; যা খুবই ভয়াবহ হতে পারে।

ক্যাব দাবি করেছে, বিগত দিনগুলোতে আর্ন্তজাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমলেও বাংলাদেশের বাজারে তার প্রতিফলন ঘটেনি।

এ অবস্থায় এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের গণশুনানি ব্যাতিরেকে সরকারের নির্বাহী আদেশে জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির ঘোষণাকে হতাশাজনক উল্লেখ করে অবিলম্বে এই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার দাবি জানিয়েছে দেশের ক্রেতা-ভোক্তাদের স্বার্থ সংরক্ষণকারী সংগঠন ক্যাব।

বিবৃতিতে বলা হয়, জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির অজুহাতকে নতুন করে কাজে লাগিয়ে ব্যবসায়ীরা তাদের প্রতিটা পণ্যের আরেক দফা দাম বাড়িয়ে দেবে।

সংগঠনটি বলছে, সরকার সাধারণ মানুষের জীবন জীবিকার সঙ্গে যুক্ত ডিজেল ও কেরোসিন তেলের দাম বাড়ালেও অকটেন ও পেট্রোলের দাম বাড়ায়নি। ফলে জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগ দেশের বৃহত্তর জনগোষ্ঠী সাধারণ ভোক্তাদের সঙ্গে ন্যায্য বিচার করেনি।

সরকার আন্তর্জাতিক বাজারের অজুহাত দিলেও ১ নভেম্বর থেকে ভারত সরকার পেট্রোলে লিটার প্রতি ৫ রুপি ও ডিজেলে ১০ রুপি হারে উৎপাদন শুল্ক কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

সংগঠনটির আশা সরকার ভারতের দৃষ্টান্তটি বিবেচনায় নেবে।

বিবৃতিতে বলা হয়, সরকার বিইআরসিকে জনস্বার্থে কাজে না লাগিয়ে বিশ্ব ব্যাংক ও আইএমএফের চাপে নির্বাহী আদেশে তাদের উদ্দেশ্য চরিতার্থ করছে। এ ক্ষেত্রে বিইআরসি ঠুঁটো জগন্নাথ ছাড়া আর কিছু নয়।

এ বিভাগের আরো খবর