তৃতীয় প্রান্তিক পর্যন্ত শেয়ার প্রতি ৬ পয়সা মুনাফায় থাকা ওষুধ ও রসায়ন খাতের কোম্পানি সেন্ট্রাল ফার্মা চতুর্থ প্রান্তিকে ১৩ পয়সা লোকসান দেয়ার পর কোনো লভ্যাংশ না দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
গত ৩০ জুন সমাপ্ত অর্থবছরের হিসাব পর্যালোচনা করে বৃহস্পতিবার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ।
২০২০ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত অর্থবছরে শেয়ার প্রতি ৯ টাকা ২৪ পয়সা লোকসান দেয়া সেন্ট্রাল ফার্মা পরের বছর ঘুরে দাঁড়ানোর আভাস দিয়েছিল।
গত বছরের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রথম প্রান্তিকে শেয়ারে ৮ পয়সা, অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত দ্বিতীয় প্রান্তিকেও সমপরিমাণ আয় করে কোম্পানিটি। তবে তৃতীয় প্রান্তিকে জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত শেয়ারপ্রতি আবার ১০ পয়সা লোকসান হয়।
শেষ প্রান্তিকে এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত ১৩ পয়সা লোকসান দেয়ার পর চূড়ান্ত হিসেবে গত বছরের জুলাই থেকে গত জুন পর্যন্ত লোকসান দাঁড়ায় ৭ পয়সা।
আগের বছরও কোম্পানিটি শেষ প্রান্তিকে অস্বাভাবিক অঙ্কের মুনাফা দেখিয়ে কোনো লভ্যাংশ দেয়নি। ২০১৯ সালের জুলাই থেকে ২০২০ সালের মার্চ পর্যন্ত শেয়ার প্রতি ৭ পয়সা লোকসান দেয়া কোম্পানিটি চতুর্থ প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি ৯ টাকা ১৭ পয়সা লোকসান দেয়।
২০১৯ সালে শেয়ারে ৪৮ পয়সা মুনাফা করে ১০ পয়সা লভ্যাংশ দিয়েছিল কোম্পানিটি। ২০১৩ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়ার পর সেবারই প্রথম নগদ লভ্যাংশ দেয়া হয়েছিল।
এর আগে ২০১৩ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত তিন বছর ১৫ শতাংশ করে, পরের দুই বছর ১০ শতাংশ করে এবং ২০১৮ সালে ৫ শতাংশ বোনাস শেয়ার দেয়া হয়।
লোকসানি ও লভ্যাংশ না আসার আশঙ্কা থাকলেও গত এক বছরে কোম্পানির শেয়ারদরে অস্বাভাবিক উত্থান দেখা গেছে।
গত এক বছরে সর্বনিম্ন ১০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ২৩ টাকা ৩০ পয়সা পর্যন্ত উঠে যায় শেয়ারদর। তবে গত সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে শুরু হওয়া দর সংশোধনে দাম কমে এখন দাঁড়িয়েছে ১৫ টাকা ৬০ পয়সা।
কোম্পানিটি লভ্যাংশ সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করেছে আগামী ২৫ নভেম্বর। লভ্যাংশ অনুমোদনের জন্য বার্ষিক সাধারণ সভা ডাকা হয়েছে ৩০ ডিসেম্বর।