শরীয়তপুর সদরের আংগারিয়া ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের ওপর দফায় দফায় হামলার অভিযোগ উঠেছে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আসমা আক্তারের সমর্থকদের বিরুদ্ধে।
স্বতন্ত্র প্রার্থী ও আংগারিয়া ইউপির বর্তমান চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন হাওলাদার বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন।
১১ নভেম্বর আংগারিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ভোট।
রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় জানায়, ওই ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়েছেন জেলা পরিষদের সদস্য আসমা আক্তার। আর দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন বর্তমান চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আনোয়ার হোসেন হাওলাদার।
আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘আমি ছাত্রজীবন থেকে আওয়ামী লীগের জন্য কাজ করছি। কিন্তু দল আমাকে মূল্যায়ন করেনি। বিএনপি পরিবারের সদস্যকে মনোনয়ন দিয়ে নৌকার মাঝি করেছে। তারা আমাকে মাঠে কাজ করতে দিচ্ছেন না। কর্মীদের ওপর দফায় দফায় হামলা করা হচ্ছে। হামলার অভিযোগ থানায় নেয়া হচ্ছে না। বিষয়গুলো রিটার্নিং অফিসারকে লিখিতভাবে জানিয়েছি।’
স্থানীয়রা জানান, মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার পর থেকেই দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে বিরোধ শুরু হয়। স্বতন্ত্র প্রার্থীর নির্বাচনি প্রচারণায় বাধা দেয়ার অভিযোগ ওঠে।
আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘নৌকার প্রার্থীর সমর্থকরা ১৯ অক্টোবর তুলাতলা গ্রাম ও তুলাতলা বাজারে, ২১ অক্টোবর দক্ষিণ ভাষানচর, ২৭ অক্টোবর নতুন হাট ও আংগারিয়া ইউপি কার্যালয়ের সামনে এবং ২ নভেম্বর দক্ষিণ ভাষানচর এলাকায় আমার সমর্থকদের ওপর হামলা চালান। এতে অন্তত ১৫ ব্যক্তি আহত হন। প্রচারণার সময় তারা তিনটি মাইক ভাঙচুর করেন।’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আসমা আক্তার বলেন, ‘আমি নৌকার পক্ষে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের নিয়ে কাজ করছি। আনোয়ার হাওলাদারের কোনো প্রচার প্রচারণায় হামলা করা হয়নি। তিনি মিথ্যা অভিযোগ করে আমার ভাবমূর্তি নষ্ট করছেন।
‘তার সমর্থকরা আমাদের নির্বাচনি ক্লাব ভাঙচুর করেছেন, মিছিলে হামলা করেছেন। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি।’
রিটার্নিং অফিসার ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা তাজুল ইসলাম বলেন, ‘স্বতন্ত্র প্রার্থী কয়েকটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। ব্যবস্থা নেয়ার জন্য ইউএনও এবং ওসির কাছে পাঠানো হয়েছে। আমি প্রার্থীকে মৌখিকভাবে সতর্ক করে নিবার্চনি আচরণবিধি মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছি।’