বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

দুই দিন ধরে নো ম্যানস ল্যান্ডে দুই বাংলাদেশির মরদেহ

  •    
  • ৪ নভেম্বর, ২০২১ ১৭:০০

বিজিবির এক কর্মকর্তারা জানান, পতাকা বৈঠকে হত্যার দায় অস্বীকার করেছে বিএসএফ। এমনকি মরদেহগুলো বাংলাদেশের অভ্যন্তরে রয়েছে বলেও জানিয়েছে তারা। যদিও বিজিবির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে মরদেহগুলো ভারতের অভ্যন্তরে রয়েছে।

সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার ডোনা সীমান্তে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যাওয়া দুই বাংলাদেশির মরদেহ দুইদিন ধরে নো ম্যানস ল্যান্ডে পড়ে আছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মরদেহগুলো উদ্ধার করা যায়নি।

মরদেহগুলো সীমান্তের বাংলাদেশ না ভারত অংশে রয়েছে এনিয়ে জটিলতা দেখা দিয়েছে। ফলে লাশ উদ্ধারে দেরি হচ্ছে বলে জানান বিজিবি কর্মকর্তারা।উপজেলার লক্ষ্মীপ্রসাদ ইউনিয়নের ডোনা সীমান্তের ১৩৩১ নম্বর পিলারের পাশে বুধবার দুপুরে দুই বাংলাদেশির মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। স্থানীয় লোকজন বিষয়টি বিজিবি ও পুলিশকে জানান।নিহত আসকর আলী ও আরিফ মিয়া সীমান্তবর্তী এলাগুল এলাকার বাসিন্দা।নিহতদের পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার রাতে বাজারে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়েছিলেন তারা। এরপর আর ফিরে আসেননি।পুলিশের ধারণা, আসকর ও আরিফ মঙ্গলবার রাতে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করে থাকতে পারেন। ওই রাতে কিংবা ভোরের কোনো এক সময়ে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বা সে দেশের খাসিয়া আদিবাসীদের গুলিতে মারা যেতে পারেন তারা।১৯ বিজিবির সুরইঘাট ক্যাম্পের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, দুজনের মরদেহ উদ্ধারে বৃহস্পতিবার সকালে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও ভারতের বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের (বিএসএফ) পতাকা বৈঠক হয়েছে।বিজিবির ওই কর্মকর্তারা জানান, পতাকা বৈঠকে হত্যার দায় অস্বীকার করেছে বিএসএফ। এমনকি মরদেহগুলো বাংলাদেশের অভ্যন্তরে রয়েছে বলেও জানিয়েছে তারা। যদিও বিজিবির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে মরদেহগুলো ভারতের অভ্যন্তরে রয়েছে।বৈঠকে মরদেহগুলো যে স্থানে পড়ে আছে সেই স্থান কোন দেশে পড়েছে তা চিহ্নিত করার সিদ্ধান্ত হয়েছে জানিয়ে ওই কর্মকর্তা বলেন, মরদেহ ভারতের অভ্যন্তরে থাকলে সে দেশে ময়নাতদন্ত হবে। এরপর আরেক দফা পতাকা বৈঠক করে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে। এতে মরদেহ উদ্ধার ও হস্তান্তরে আরও কিছুদিন লাগতে পারে।কানাইঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বৃহস্পতিবার বিকেলে বলেন, মরদেহগুলো সীমান্তে এখনো পড়ে আছে। ওই জায়গা ভারতের অভ্যন্তরে হওয়ায় এখনও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। বিজিবি ও বিএসএফ যৌথভাবে মরদেহ উদ্ধারের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে।নিহত আরিফের পরিবারের এক সদস্য বলেন, স্থানীয় লালবাজারে যাওয়ার কথা বলে বিকেলে আরিফ ও আসকর বাড়ি থেকে বের হয়েছিলেন। ডোনা সীমান্ত এলাকার কিছু মানুষের কাছ থেকে তারা শুনেছেন আসকর ও আরিফ ভারতের মেঘালয় রাজ্যের উখিয়াং এলাকায় অনুপ্রবেশ করেছিলেন। এ সময় তাদের ওপর গুলি করে বিএসএফ। ঘটনাস্থলেই দুজন মারা গেলে তাদের মরদেহ সীমান্তের ১৩৩১ মেইন পিলারের পাশে ফেলে রাখা হয়।এ বিষয়ে বিজিবি-১৯ ব্যাটেলিয়ানের অধিনায়ক লে. কর্নেল সুহেলের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

এ বিভাগের আরো খবর