ছাত্রলীগের এক নেতাকে বহিষ্কার করার কয়েক ঘণ্টা পরই ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ভূঁইয়াকে সংগঠন থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।
বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে তাকে সংগঠনের সব দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক রুবেল চৌধুরী ফুজায়েল।
এর আগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রলীগের নব্য কমিটিতে সদস্য পদ পাওয়া আবির মোহাম্মদ সোহাগকে ছাত্রদল থেকে বহিষ্কার করা হয়। বুধবার দুপুরে সাইফুল ইসলাম ভূঁইয়া স্বাক্ষরিত একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে সোহাগকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা পশ্চিম ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক উল্লেখ করে ছাত্রলীগের সদস্য পদ পাওয়ায় তাকে ছাত্রদল থেকে বহিষ্কার করা হয় বলে উল্লেখ করা হয়।
এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সাইফুলকে অব্যাহতি দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় ছাত্রদল।
এ বিষয়ে জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক রুবেল চৌধুরী ফুজায়েল বলেন, ‘ব্রাহ্মণবাড়িয়া ছাত্রদলের নিজস্ব প্যাড থেকে আবির মোহাম্মদ সোহাগ নামে ছাত্রলীগের এক সদস্যকে বহিষ্কার করার নির্দেশ দিয়ে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দেন সাইফুল, তবে সোহাগ আমাদের সংগঠনের কেউ না। তাকে কখনো ছাত্রদলের রাজনীতি করতে আমি দেখিনি। সাইফুলের এমন দায়িত্বজ্ঞানহীন কর্মকাণ্ডের কারণে তাকে সংগঠনের সব কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।’
তা ছাড়া সংগঠন থেকে তাকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের জন্য কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে সুপারিশ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এ বিষয়ে ছাত্রদলের সদ্য সাবেক দপ্তর সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ভূঁইয়াকে একাধিকবার কল করা হলেও সেগুলো রিসিভ হয়নি।
বহিষ্কার ষড়যন্ত্র: সোহাগ
এদিকে আবির মোহাম্মদ সোহাগ তাকে বহিষ্কারের বিষয়টিকে ষড়যন্ত্র হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘ছাত্রলীগ দিয়েই আমার রাজনীতি শুরু। বিএনপির কর্মকাণ্ডে কখনো ছিলাম না।
‘কেন্দ্র, জেলা ও উপজেলা কমিটির নেতাদের স্বাক্ষরে বিভিন্ন সময়ে ছাত্রলীগের নানা পদে ছিলাম। একটি মহল আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে।’
কসবা উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হক পলাশ বলেন, ‘আবির ২০১০ সাল থেকে ছাত্রলীগের পদধারী। সামনে সে আরও ভালো অবস্থানে যাবে। এ কারণে তার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে একটি মহল উঠেপড়ে লেগেছে।’