অস্বাস্থ্যকর ও খাদ্যে ভেজাল দেয়ার অভিযোগে সিলেটে র্যাবের করা মামলায় জেলা চেম্বার অব কমার্সের সভাপতিকে আসামি করা হয়েছে।
নগরীর জিন্দাবাজারের তিনটি রেস্টুরেন্টে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে নানা অনিয়মের অভিযোগ এনে বুধবার র্যাবের ডিএডি সিরাজুল ইসলাম মামলাটি করেন।
মামলায় সিলেট চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি আবু তাহের মো. শোয়েবসহ ১৩ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে সিলেট কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলীম আহমদ বলেন, ‘তারা একটি এজাহার দাখিল করেছেন। এখন আমরা তদন্ত করে দেখব। তদন্তে কারো সংশ্লিষ্টতা পাওয়া না গেলে তাকে অভিযোগপত্র থেকে বাদ দেয়া হবে।’
এর আগে মঙ্গলবার দুপুরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার বসুর নেতৃত্বে নগরীর জিন্দাবাজার এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে র্যাব।
ওই সময় পচা-বাসি খাবার পরিবেশন, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ এবং ব্যবসা পরিচালনার লাইসেন্স না থাকায় ভোজনবাড়ি রেস্টুরেন্ট সিলগালা করা হয়। আর পাঁচ ভাই ও পানসি রেস্টুরেন্টকে ৮০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়।
এজাহার থেকে জানা যায়, সিলগালা করা নগরীর ভোজনবাড়ি রেস্টুরেন্টের ব্যাবসায়িক অংশীদার চেম্বার সভাপতি আবু তাহের।
তবে বুধবার রাতে নিউজবাংলার কাছে শোয়েব দাবি করেন, রেস্টুরেন্টটির শুরুর দিকে তিনি ব্যাবসায়িক অংশীদার ছিলেন। বছর দেড়েক পর তিনি তার অংশ বিক্রি করে দেন। এখন তিনি আর ওই রেস্টুরেন্টের সঙ্গে যুক্ত নন।
তিনি বলেন, ‘ধারণা করছি, রেস্টুরেন্টের প্রথম দিককার চুক্তিনামা দেখে যাদের নাম পাওয়া গেছে, তাদেরই হয়তো মামলায় আসামি করা হয়েছে।’ভোজনবাড়ি রেস্টুরেন্টের আরেক ব্যাবসায়িক অংশীদার সিলেট মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি সুজেল আহমদ তালুকদারকেও আসামি করা হয়েছে।
এ ছাড়া গ্রেপ্তার দেখানো তিন আসামিও ভোজনবাড়ি রেস্টুরেন্টের। তারা হলেন ম্যানেজার মো. তোরাব আলী, সুপারভাইজার শুভ চন্দ্র পাল ও সৈয়দ মহদ্দিস আলী।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন মো. ঝুনু চৌধুরী, মো. লুৎফুর রহমান চৌধুরী, মো. লিলু মিয়া, মো. কবির আহমদ, শিপন দেব, নিলেন্দু দেব, ইফতেখারুল আলম রুম্মান ও শাহ কয়েছ চৌধুরী।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে করা মামলায় রেস্টুরেন্টে কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ভেজাল, মেয়াদোত্তীর্ণ ও ক্ষতিকর রাসায়নিক দ্রব্য মিশ্রিত খাদ্যদ্রব্য বিক্রি করার অভিযোগ আনা হয়েছে।