বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ডিজেলের দাম এক লাফে ১৫ টাকা বাড়িয়ে ৮০

  •    
  • ৩ নভেম্বর, ২০২১ ২২:২৯

বিজ্ঞপ্তিতে ডিজেলের পাশাপাশি বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহৃত ফার্নেস অয়েলের কথাও উল্লেখ করা হয়। ডিজেলের পাশাপাশি এই তেল লিটারে ৬.২১ টাকা কমে বিক্রি করায় সরকার প্রতিদিন প্রায় ২০ কোটি টাকা লোকসান দিচ্ছে বলেও জানানো হয়। কেবল অক্টোবর মাসে পেট্রোলিয়াম করপোরেশন বিভিন্ন গ্রেডের পেট্রোলিয়াম পণ্য বিক্রি করে ৭২৬ কোটি ৭১ লাখ টাকা লোকসান দিয়েছে।

আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে দেশেও ডিজেল ও কেরোসিনের দাম বাড়িয়েছে সরকার। লিটারপ্রতি এক লাফে ১৫ টাকা বাড়িয়ে ৮০ টাকা করা হয়েছে। সে হিসাবে দাম এক লাফে বাড়ল ২৩ শতাংশ।

নতুন দাম রাত ১২টা থেকেই কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে সরকার।

প্রায় সাড়ে পাঁচ বছর পর সরকার জ্বালানি তেলের দাম পুনর্নির্ধারণ করল। ২০১৬ সালের ২৪ এপ্রিল সরকার জ্বালানি তেলের দাম কমিয়েছিল।

করোনা শেষে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম ক্রমেই বাড়ছে। দাম এতটাই বেড়ে গেছে যে, কেবল গত অক্টোবরেই সরকার সোয়া ৭০০ কোটি টাকার বেশি লোকসান দিয়েছে।

নতুন দাম কার্যকর হওয়ায় ডিজেলে সরকার আর কোনো লোকসান দেবে না। বরং লিটারে দুই টাকার মতো মুনাফা করবে পেট্রোলিয়াম করপোরেশন।

বুধবার রাতে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপ-প্রধান তথ্য অফিসার মীর মোহাম্মদ আসলাম উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।

দেশের এর আগে কখনও এক লাফে এত বেশি হারে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো হয়নি।

বিজ্ঞপ্তিতে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর পেছনে যুক্তি তুলে ধরে বলা হয়, আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের মূল্য ক্রমবর্ধমান। বিশ্ববাজারে ঊর্ধ্বগতির কারণে পার্শ্ববর্তী দেশসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশ জ্বালানি তেলের মূল্য নিয়মিত সমন্বয় করছে।

ভারতে জ্বালানি তেলের দামের হিসাবও দেয়া হয় এতে। জানানো হয়, গত ১ নভেম্বর ভারতে ডিজেলের বাজারমূল্য নির্ধারণ করা হয় লিটারে ১০১ দশমিক ৫৬ রুপি। বাংলাদেশি মুদ্রায় তা দাঁড়ায় ১২৪ টাকা ৪১ পয়সা।

আন্তর্জাতিক বাজার থেকে যে মূল্যে বাংলাদেশ তেল কেনে, সেটি বিবেচনায় নিলে ডিজেলে লিটারপ্রতি ১৩.০১ টাকা লোকসান হতো বলেও জানানো হয় বিজ্ঞপ্তিতে।

বিজ্ঞপ্তিতে ডিজেলের পাশাপাশি বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহৃত ফার্নেস অয়েলের কথাও উল্লেখ করা হয়। ডিজেলের পাশাপাশি এই তেল লিটারে ৬.২১ টাকা কমে বিক্রি করায় সরকার প্রতিদিন প্রায় ২০ কোটি টাকা লোকসান দিচ্ছে বলেও জানানো হয়।

বলা হয়, কেবল অক্টোবর মাসে পেট্রোলিয়াম করপোরেশন বিভিন্ন গ্রেডের পেট্রোলিয়াম পণ্য বিক্রি করে ৭২৬ কোটি ৭১ লাখ টাকা লোকসান দিয়েছে।

জ্বালানি তেলের দাম যে বাড়ছে, সেই ইঙ্গিত অবশ্য অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল আগেই দিয়ে রেখেছিলেন। আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় সরকারকে ভর্তুকি দিতে হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেছিলেন, ভর্তুকিরও একটা সীমা আছে।

জ্বালানি তেলের দাম বাড়লে পরিবহন ভাড়া বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। এমনিতে পণ্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে বিপাকে সাধারণ মানুষ। এ অবস্থায় জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি করায় তাদেরকে পরিবহন ভাড়ার পাশাপাশি পণ্যমূল্যেও বেশি টাকা খরচ করতে হতে পারে।

অর্থমন্ত্রী তার পরিকল্পনার কথা প্রকাশ করার পর বিএনপির পক্ষ থেকে তেলের দাম বৃদ্ধির পরিকল্পনার সমালোচনা করা হয়েছে। দলটির মুখপাত্র রুহুল কবির রিজভী আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, জ্বালানি তেলের দাম বাড়লে পণ্যমূল্য আরও বেড়ে যাবে।েআন্তর্জাতিক বাজারে চলতি বছরের জানুয়ারির শুরুর দিকে ব্যারেলপ্রতি অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম ছিল ৪৯ ডলার। ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি তা বেড়ে দাঁড়ায় ৬১ ডলার। চার মাস পর জুনের মাঝামাঝি আরও বেড়ে ৭১ ডলারে গিয়ে দাঁড়ায়। সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি হয় ৭৫ ডলার। সরকার দাম পুনর্নির্ধারণের দিন বুধবার আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি ব্যারেল অপরিশোধিত তেলের দাম ছিল ৮৪ ডলার ১ সেন্ট।

এ বিভাগের আরো খবর