ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নবগঠিত জেলা ছাত্রলীগের কমিটির সদস্য হিসেবে নাম দেখার পর ছাত্রদল থেকে বহিষ্কার হয়েছেন এক নেতা।
সেই নেতার নাম আবির মোহাম্মদ সোহাগ। তিনি কসবা উপজেলার ৭ নম্বর পশ্চিম ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিলেন বলে জানিয়েছে সংগঠনটি। সম্প্রতি জেলা ছাত্রলীগের কমিটিতে তার নাম ছিল।
তবে আবিরের দাবি, তিনি কখনও ছাত্রদল করতেন না। রাজনৈতিক জীবনের শুরু থেকেই ছাত্রলীগে জড়িত।
জেলা ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক সাইফুল ইসলাম বুধবার বিকেলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বহিষ্কারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘আবিরের বিরুদ্ধে ছাত্রলীগ করার অভিযোগ পুরনো। এই অভিযোগ এখন প্রমাণিত। তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে।’
তবে বিষয়টিকে ষড়যন্ত্র বলছেন আবির। তিনি বলেন, ‘ছাত্রলীগ দিয়েই আমার রাজনীতি শুরু। বিএনপির কর্মকাণ্ডে কখনও ছিলাম না। কেন্দ্র, জেলা ও উপজেলা কমিটির নেতাদের স্বাক্ষরে বিভিন্ন সময়ে ছাত্রলীগের নানা পদে ছিলাম। একটি মহল আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে।’
কসবা উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হক পলাশ বলেন, ‘আবির ২০১০ সাল থেকে ছাত্রলীগের পদধারী। সামনে সে আরও ভালো অবস্থানে যাবে। যে কারণে তার ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করতে একটি মহল উঠেপড়ে লেগেছে।’
এ বিষয়ে কেন্দ্র থেকে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন শোভন।
জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ফুজায়েল চৌধুরী বলছেন, আবির কোন কমিটির সময় ছাত্রদল করত, তা জানতে দপ্তর সম্পাদককে ডাকা হয়েছে।
ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য ৩১ অক্টোবর ছাত্রলীগের ফেসবুক আইডি থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার পূর্ণাঙ্গ কমিটি প্রকাশ করেন। তাদের মধ্যে ৩১ রাতে ২৯৫ জন ও পরদিন দুপুরে ৫৪ জনের নামের তালিকা প্রকাশ করা হয়।
ঢাউস এই কমিটির আকার নিয়েও হাস্যরস তৈরি হয়েছে। ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির আকারও এত বড় নয়, যতটা বড় ছাত্র সংগঠনটির ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কমিটি।