বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বায়োপসির নমুনা সম্পর্কে আরও স্বচ্ছ ধারণা পেতে রিপোর্ট যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানো হয়েছে।
খালেদা জিয়ার মেডিক্যাল বোর্ডের এক চিকিৎসক নিউজবাংলাকে বিষয়টি জানিয়েছেন।
রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের রিপোর্ট চিকিৎসকদের হাতে আসে শনিবার। পরের দিন তা বিদেশে পাঠানো হয়েছে বলে জানান মেডিক্যাল বোর্ডের এক চিকিৎসক।
ওই চিকিৎসক জানান, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানো রিপোর্টের বিষয়ে জানতে ২০ থেকে ২৫ দিন সময় লাগতে পারে।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা উন্নতির দিকে বলে জানিয়েছেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন।
তিনি বলেন, ‘চেয়ারপারসনের জন্য গঠিত মেডিক্যাল বোর্ড রিপোর্ট পর্যালোচনা করে চিকিৎসাপত্র দিয়েছি। সেই অনুযায়ী তার চিকিৎসা চলছে।’
রাজধানী এভারকেয়ার হাসপাতালে গত ২৫ অক্টোবর বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বায়োপসি করা হয়।
বায়োপসি কী
রোগ শনাক্তের অংশ হিসেবে দেহের কোনো অংশ থেকে টিস্যু নেয়াকে বায়োপসি বলা হয়। এ প্রক্রিয়ায় সুচের সাহয্যে ছোট্ট নমুনা টিস্যু সংগ্রহ করে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়। শরীরে সন্দেহজনক কোনো পিণ্ড বা টিউমারে ক্যানসার ছড়িয়েছে কি না, সেটি নিশ্চিতে বায়োপসি করা হয়ে থাকে।
এ বিষয়ে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের গাইনি বিভাগের কনসালট্যান্ট উম্মে নাজমিন ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘মূলত ক্যানসার রোগ নির্ণয় করার জন্য বায়োপসি করা হয়। এই পরীক্ষার মধ্য দিয়ে মানবদেহের কোষ সংগ্রহ করা হয়। তাই এই পরীক্ষা দিয়ে কোনো কোনো টিউমার ক্যানসারের জন্য দায়ী না হলেও সেগুলো সম্পর্কে জানা যায়।
‘টিবি (যক্ষ্মা) নির্ণয় করতেও বায়োপসির প্রয়োজন হয়। এ ছাড়া রক্তনালিতে তৈরি টিউমার শনাক্ত করতেও বায়োপসি করা হয়।’