ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের সময় প্রতিপক্ষের হামলায় গুরুতর আহত চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজের (চমেক) এমবিবিএস দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মাহাদী জে আকিবের অবস্থা আগের চেয়ে কিছুটা উন্নতি হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে তিনি বিছানায় উঠে বসেছেন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। তবে এখনও তাকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয়েছে।
চমেক হাসপাতালের আইসিইউ প্রধান রঞ্জন কুমার নাথ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আকিব আরও একটু সুস্থ হয়েছেন। তিনি আজ উঠে বসেছেন।’
তিনি বলেন, ‘তার দীর্ঘ চিকিৎসার প্রয়োজন রয়েছে। এখনও তাকে আইসিইউতে রাখা হয়েছে, যাতে ভিড় এড়ানো যায়। বেশি ভিড় করলে ইনফেকশনের শঙ্কা আছে।’
শনিবার ছাত্রলীগের একটি পক্ষের হামলায় আকিব গুরুতর আহত হন। পরে চমেক হাসপাতালে তার অস্ত্রোপচার হয়। আকিবের মস্তিষ্ক ও মাথার খুলি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। খুলির হাড়ের একটি অংশ কেটে আপাতত পেটের চামড়ার নিচে রাখা হয়েছে।
আকিব আরেকটু সুস্থ হলে সেটি প্রতিস্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন রঞ্জন কুমার নাথ।
চমেকে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুসারী এবং নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র আজম নাছির উদ্দীনের অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষের জেরে শনিবার অনির্দিষ্টকালের জন্য কলেজ বন্ধ ঘোষণা করা হয়। ওইদিন সন্ধ্যা ৫টার মধ্যে শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশ দেয়া হয়।
শনিবার সকালের সংঘর্ষে আহত হন মাহাদী আকিব, মাহফুজুল হক ও নাইমুল ইসলাম। তাদের মধ্যে আকিব নওফেলের অনুসারী ও বাকি দুজন নাছির উদ্দীনের।
পাঁচলাইশ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ছাদেকুর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এ ঘটনায় পাঁচলাইশ থানায় ১৬ জনের নামে ও ৬ থেকে ৭ জন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিকে আসামি করে শনিবার রাতে মামলা করেছেন নওফেলের অনুসারী ছাত্রলীগ নেতা তৌফিকুর রহমান। এর মধ্যে এনামুল হাসান সীমান্ত ও রক্তিম দে নামের এজাহারভুক্ত দুজন আসামিকে রাতেই হাসপাতালের গেট থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।’