বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা নিল না থানা, আদালতে আবেদন

  •    
  • ২ নভেম্বর, ২০২১ ১৮:৫২

এসআই শাহ আলমসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে রাফিয়া আক্তার তুলি সাভার থানায় মামলা করতে যান। তবে থানা কর্তৃপক্ষ মামলা নিতে গড়িমসি করে। এ জন্য আদালতে মামলার আবেদন করেছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করেন তুলি। আদালত জবানবন্দি গ্রহণ করে পিবিআইকে অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি প্রতিবেদন জমার নির্দেশ দেয়।

মারধর, চাঁদা দাবি, চুরির অভিযোগে সাভার থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শাহ আলমসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করতে না পেরে আদালতে যান এক নারী।

রাফিয়া আক্তার তুলি নামে ওই নারী আদালতে মামলার আবেদন করলে আদালত তা গ্রহণ করে জবানবন্দি নেয়।

মঙ্গলবার ঢাকার মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতের জ্যেষ্ঠ হাকিম শাহজাদী তাহমিদার আদালত তুলির জবানবন্দি গ্রহণ করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি প্রতিবেদন আদালতে জমার নির্দেশ দেয়।

এসআই শাহ আলমসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে রাফিয়া আক্তার তুলি সাভার থানায় মামলা করতে যান। তবে থানা কর্তৃপক্ষ মামলা নিতে গড়িমসি করে। এ জন্য আদালতে মামলার আবেদন করেছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করেন তুলি।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন আওলাদ হোসেন খান, মো. আলাউদ্দিন, মনোয়ারা বেগম ও তার দুই ছেলে আমান উল্লাহ ও জামাল হোসেন।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, রাফিয়া আক্তার তুলি এবং তার স্বামী আফজাল হোসেন সরকার নালিশী সম্পত্তিসহ ১৭৭ শতাংশ জমি কিনে মালিক ও দখলদার হন। পরে ওই জমিতে নূরনবী আলী ও ইউনুছ আলী হাওলাদার নামে দুইজনকে কেয়ারটেকার হিসেবে নিযুক্ত করেন। বাড়ি দেখভাল ও সেখানে বসবাস করে আসছিলেন তারা।

গত ২৬ সেপ্টেম্বর আসামি আওলাদ হোসেন খানসহ অন্য আসামিরা রাফিয়া আক্তার তুলির বাড়িঘর ভাঙচুর করেন। এতে বাধা দিলে আসামিরা কেয়ারটেকার ইউনুছ আলী হাওলাদারকে মারধর করেন। এ ঘটনায় ইউনুছ আলী সেই রাতে সাভার থানায় অভিযোগ করেন। এর তদন্তভার দেয়া হয় এসআই শাহ আলমকে।

পরের দিন রাত সাড়ে ১২টার দিকে সাভার থানার ভাকুর্তা বিট ইনচার্জ এসআই শাহ আলম ও দুই কনস্টেবলের উপস্থিতিতে আওলাদ হোসেন এবং মো. আলাউদ্দিন একজন কেয়ারটেকারের স্ত্রীকে মারধর ও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। এরপর এসআই শাহ আলম ভিকটিমকে বলেন, বাড়ির মালিক রাফিয়া আক্তার যেন ৫ লাখ টাকা নিয়ে ভাকুর্তা বিট অফিসে দেখা করতে যান।

২৮ সেপ্টেম্বর সকালে তুলির শুভাকাঙক্ষী জাকির হোসেন ভাকুর্তা পুলিশ ফাঁড়িতে এ ব্যাপারে খোঁজখবর নিতে গেলে এসআই শাহ আলম তাকে সেখানেই হাতকড়া পরিয়ে দেন। এরপর ২০ হাজার টাকার বিনিময়ে বিকেল ৫টার দিকে তাকে ছেড়ে দেন।

চাঁদার ৫ লাখ টাকা না দেয়ায় গত ৬ অক্টোবর এসআই শাহ আলম কেয়ারটেকারকে ফোন করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও প্রাণনাশের হুমকি দেন। এতে রাফিয়া আক্তার তুলি চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলেও উল্লেখ করা হয়।

এ বিভাগের আরো খবর