বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

রাবি ‘ক’ ইউনিটে চতুর্থ, ঢাবি ‘খ’ ইউনিটে প্রথম

  •    
  • ২ নভেম্বর, ২০২১ ১৮:০৫

মোহাম্মদ জাকারিয়া বলেন, 'আম্মু সব সময় চাইতেন আমি যেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম হই। পরীক্ষায় ভালো ফল করার ক্ষেত্রে আমার অধ্যবসায়ের চেয়ে আম্মুর দোয়াটা গুরুত্বপূর্ণ বলে আমি মনে করি। সেই দোয়াটাই এমন ফল করার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় শক্তি।'

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদভুক্ত ‘খ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম হওয়া মোহাম্মদ জাকারিয়া এর আগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষাতেও সাফল্য পেয়েছেন।

উত্তরের সবচেয়ে প্রাচীন বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘ক’ ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষায় চতুর্থ হয়েছেন তিনি। গুচ্ছ পরীক্ষায় তার নম্বর ছিল ৮৯.২৫। তবে সেখানে আর ভর্তি হবেন না। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য আবেদন করলেও, সেখানে পরীক্ষাও দেবেন না। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়েও ভর্তি পরীক্ষা দেননি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘খ‘ ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষায় জাকারিয়ার নম্বর ৮০ দশমিক ৫। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের ফলসহ তার মোট নম্বর ১০০ দশমিক ৫।

জাকারিয়া ভর্তি হতে চান আইন বিভাগে। ভবিষ্যতে করতে চান রাজনীতিও।

তার বাড়ি পটুয়াখালী সদর উপজেলার বদরপুর ইউনিয়নে। দুই ভাইয়ের মধ্যে বড়। পড়েছেন জেলার দারুন নাজাত সিদ্দিকিয়া কামিল মাদ্রাসায়।

ছোট ভাই একই প্রতিষ্ঠানে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী। বাবা একটি ওষুধ কোম্পানিতে চাকরি করেন। মা পটুয়াখালীর বাকেরগঞ্জে দুধলমৌ ফয়েজ হোসাইন ফাজিল মাদ্রাসার শিক্ষক।

পরীক্ষায় ভালো ফলাফল জাকারিয়ার কাছে দুধ ভাতের মতো। পঞ্চম শ্রেণি থেকে সব বোর্ড পরীক্ষায় তার ফল ছিল জিপিএ ফাইভ।

জাকারিয়া বলেন, ‘আলিমে ওঠার সময় থেকেই আমার ইচ্ছা ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া। আম্মু সব সময় চাইতেন, আমি যেন ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম হই। পরীক্ষায় ভালো ফল করার ক্ষেত্রে আমার অধ্যবসায়ের চেয়ে আম্মুর দোয়াটা গুরুত্বপূর্ণ বলে আমি মনে করি। সেটাই এমন ফল করার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় শক্তি।’

মায়ের অবদানের কথা স্মরণ করে জাকারিয়া বলেন, ‘সব মা-ই সন্তানের সাফল্যের জন্য দোয়া করে। তবে এ ক্ষেত্রে আমার আম্মু বুঝি আর সবাইকে ছাড়িয়ে। ভর্তি পরীক্ষার আগ পর্যন্ত নিজের জামা-কাপড় ধোয়ার কাজও আমি করতাম না। গোসল করার পর লুঙ্গিটাও আম্মু ধুয়ে দিত। রাতে পরীক্ষা থাকলে আমার জন্য আম্মু বসে থাকত। পরীক্ষা শেষে আমার সঙ্গে বসে খেত।‘

পড়ার রুটিন সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আলিমে পড়া অবস্থা থেকেই আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে প্রস্তুতি শুরু করেছি। তবে পড়ার তেমন কোনো রুটিন ছিল না। যখন মন চাই তখন পড়তাম, ভালো না লাগলে পড়তাম না। কখনও কখনও অনেক পড়তাম, আর মাঝে মাঝে পড়তামই না।‘

বন্ধুদের ভূমিকার কথাও স্মরণ করেন জাকারিয়া। তিনি বলেন, ‘আম্মুর পর বন্ধুরাই সবচেয়ে বড় শক্তি ছিল। আমার অনেক বন্ধু খুব সহায়ক ভূমিকা রেখেছে। বিশেষ করে সানাউল্লাহ। যত জায়গায় আবেদন করা দরকার সে-ই সবসময় আবেদন করে দিয়েছে।’

নম্বরের হিসাবনিকাশ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার বাংলা অংশের এমসিকিউতে জাকারিয়া ১৫টি প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন। এর মধ্যে একটি ভুল হয়েছে। সেটির জন্য দশমিক ২৫ নম্বর কাটা যাওয়ায় এই অংশে তিনি ১৩.৭৫ নম্বর পেয়েছেন। লিখিত অংশে পেয়েছেন ১২। সব মিলিয়ে বাংলায় মোট নম্বর ২৫.৭৫।

ইংরেজির এমসিকিউ অংশে ১৫টি প্রশ্নের উত্তর দিয়ে একটি ভুল করায় নম্বর এসেছে ১৩.৭৫। লিখিত অংশে পেয়েছেন ১৬; সব মিলিয়ে ২৯.৭৫।

সাধারণ জ্ঞানের এমসিকিউতে ৩০টি প্রশ্নের উত্তরে ভুল হয়েছে চারটি। মোট নম্বর ২৫।

সব মিলে ভর্তি পরীক্ষায় তার মোট নম্বর ৮০.৫। এছাড়া এসএসসি এবং এইসএসসিতে জিপিএ ফাইভ থাকায় তিনি ২০ নম্বরই পেয়েছেন।

এ বিভাগের আরো খবর