প্রবৃদ্ধিকে টেকসই করতে তরুণদের তথ্যপ্রযুক্তিতে দক্ষতা উন্নয়নের কোনো বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
তিনি বলেছেন, জনসংখ্যাতাত্ত্বিক সুবিধা কাজে লাগাতে যুগের চাহিদা অনুযায়ী তরুণদের দক্ষ করে তোলার জন্য সরকার নানা উদ্যোগ নিয়েছে। তরুণদের মেধা ও উদ্ভাবনের খোঁজে তাদের দেশীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণে সহায়তা ও উৎসাহিত করছে।’
মঙ্গলবার ডিজিটাল প্লাটফর্মে যুক্ত হয়ে ‘বাংলাদেশ আইসিটি স্কিল কম্পিটিশন ২০২১’ এর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি) ও চীনের শীর্ষ প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে যৌথভাবে এই প্রতিযোগিতা আয়োজন করেছিল।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বাংলাদেশে ইউনেস্কোর আবাসিক প্রতিনিধি বিয়েট্রিস কালদুন ও হুয়াওয়ে বাংলাদেশের সিইও ঝ্যাং ঝেংজুন।
প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, ‘বাংলাদেশের ডিজিটাল রূপান্তরের অভিযাত্রায় আইসিটি খাতের প্রবৃদ্ধি ইতিবাচক। বর্তমানে দেশের আইসিটি রপ্তানি এক দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে। ২০২৫ সালে এটি পাঁচ বিলিয়ন ডলারে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্য রয়েছে। গত ১২ বছরে দুই মিলিয়ন মানুষের তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর কর্মসংস্থান হয়েছে। ২০২৫ সালের মধ্যে তিন মিলিয়ন মানুষের কর্মসংস্থানের লক্ষ্য রয়েছে।’
বিয়েট্রিস কালদুন বলেন, ‘তথ্যপ্রযুক্তি হচ্ছে প্রবৃদ্ধির চালিকা শক্তি এবং এই প্রবৃদ্ধির কেন্দ্রবিন্দুতে অবস্থান তরুণদের। তরুণেদের মেধা, উদ্ভাবন ও সৃজনশীলতাকে কাজে লাগিয়েই প্রবৃদ্ধিকে টেকসই করতে হবে।
ঝ্যাং ঝেংজুন বাংলাদেশের তরুণদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে নানা উদ্যোগ গ্রহণের কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘আগামীতে তরুণদের মেধা বিকাশে বাংলাদেশ আইসিটি স্কিল কম্পিউটিশনে সহযোগিতা অব্যাহত রাখা হবে।’
অনুষ্ঠানে দশ মাস ধরে চলা ‘বাংলাদেশ আইসিটি স্কিল কম্পিটিশন ২০২১’ এর চ্যাম্পিয়ন ও রানার আপ বিজয়ী তিন দলের নাম ঘোষণা করা হয়। দেশের বিভিন্ন প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯০২ জন শিক্ষার্থী প্রতিযোগিতার জন্য নিবন্ধন করেছিলেন।
প্রতিযোগিতায় বুয়েট শিক্ষার্থী সোহান সালাউদ্দিন মুগ্ধ, রাবিব ইবরাত এবং মো. তাহমিদুর রাফিদের বুয়েট দল চ্যাম্পিয়ন, মো. কাফ শাহরিয়ার, হাসান মেসবাহ আলী তাহের এবং সোহান রশীদের কুয়েট দল প্রথম রানার আপ এবং আরিফ আহমেদ নওফেল, মো. তাকিউল হাসান সাকিব এবং সেলিম রেজার এনএসইউ দল দ্বিতীয় রানার আপ হয়।
চ্যাম্পিয়ন দলের বিজয়ীরা পাবেন হুয়াওয়ের ল্যাপটপ, প্রথম রানার আপ দলের বিজয়ীরা হুয়াওয়ে স্মার্ট ঘড়ি এবং দ্বিতীয় রানার আপ দলের বিজয়ীরা পাবেন হুয়াওয়ের ট্যাব।
তিন বিজয়ী দলই ২০২২ সালে মালয়েশিয়ায় অনুষ্ঠিতব্য হুয়াওয়ে আইসিটি কম্পিটিশনে যোগদানের সুযোগ পাবে। ইতোমধ্যে পাঁচ শিক্ষার্থীকে হুয়াওয়েতে কাজের প্রস্তাব দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।