নরসিংদীর রায়পুরায় আধিপত্য বিস্তার ও ইউপি নির্বাচন ঘিরে সংঘর্ষে আহত আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। গত ২৮ অক্টোবরের ওই সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হয়েছিলেন দুজন।
সোমবার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে মারা যান ৫০ বছর বয়সী সুলমান মিয়া। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রায়পুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) গোবিন্দ সরকার।
তিনি বলেন, ‘ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন সুলমান। তার পরিবারের পক্ষ থেকে এখনও কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেব।’
সংঘর্ষে নিহত দুজনের পরিবার দুটি মামলা করেছেন বলেও জানান গোবিন্দ সরকার।
উপজেলার পাড়াতলী ইউনিয়নের কাচারিকান্দি গ্রামে গত ২৮ অক্টোবর দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়। এ দিন গুলিতে নিহত হন সাদির ও হিরণ নামের দুই ব্যক্তি। আহত হন অন্তত ৩০ জন।
স্থানীয়দের বরাতে রায়পুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিজুর রহমান জানান, কাচারিকান্দি গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য শাহ আলম ওরফে ছোট শাহ আলমের সঙ্গে বর্তমান ইউপি সদস্য শাহ আলম ওরফে বড় শাহ আলমের বিরোধ ছিল।
এর জেরে ৬ মাস আগে এই দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে ছোট শাহ আলমের পক্ষের ইয়াসিন ও শাহিন নামে দুজন নিহত হন। এ ঘটনায় বড় শাহ আলম ও তার সমর্থকরা গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে যান।
ইউপি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হলে নির্বাচনে অংশ নেয়ার জন্য বড় শাহ আলমের লোকজন সম্প্রতি গ্রামে ঢোকার চেষ্টা চালায়। গত ২৮ অক্টোবর ভোরে তারা টেঁটা, বল্লম ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ছোট শাহ আলমের বাড়িতে হামলা চালায়।
এ সময় ছোট আলমের সমর্থকরা বাধা দিলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। একপর্যায়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে ছোট শাহ আলমের দুই সমর্থক ঘটনাস্থলেই নিহত হন।