রংপুরের হারাগাছে পুলিশের বিরুদ্ধে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ তুলে থানা ঘেরাওয়ের পর স্থানীয়দের সঙ্গে দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়েছে পুলিশের। বিক্ষুব্ধরা এ সময় বেশ কিছু গাড়ি ভাঙচুর করে, সড়ক অবরোধেরও চেষ্টা করে।
প্রায় তিন ঘণ্টা পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয় পুলিশ।
নগর পুলিশের উপপুলিশ কমিশনার আবু মারুফ হোসেন এই তথ্য জানিয়েছেন নিউজবাংলাকে।
হারাগাছের বাছিবানিয়া এলাকায় সোমবার সন্ধ্যার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
৫৫ বছরের মৃত ব্যক্তির নাম তাজুল ইসলাম।
প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন জানান, হারাগাছের বছি বানিয়া এলাকা থেকে সন্ধ্যা পৌনে সাতটার দিকে তাজুল ইসলামকে গাঁজাসহ আটকের দাবি করে পুলিশ। এ সময় তিনি ভয়ে জ্ঞান হারান। পুলিশ তখন তাকে মারধর করলে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাজুলের।
এর প্রতিবাদে প্রথমে রংপুর-হারাগাছ সড়ক অবরোধ করেন স্থানীয়রা। পরে তারা হারাগাছ থানা ঘেরাও করে। পুলিশ টিয়ারশেল ছুড়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এরপর বিক্ষোভকারীরা রংপুর-হারাগাছ সড়কের হক বাজার এলাকায় অবস্থা নেয়।
সেখানে পুলিশের সঙ্গে কয়েক দফা তাদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। রাত ১০ টার দিকে পুলিশ বিক্ষোভকারীদের হটিয়ে দিলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বিক্ষোভকারীরা হারাগাছ থানা ক্যাস্পাসে প্রথমে হামলা চালায়। সেখানে থাকা পুলিশ কর্মকর্তাদের গাড়ি, মোটরসাইকেল ভাঙচুর ও পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়ে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে টিয়ারশেল ছুড়ে পুলিশ। এ সময় অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।
নগর পুলিশের উপপুলিশ কমিশনার আবু মারুফ জানান, ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হবে। কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। এ বিষয়ে পরে বিস্তারিত জানানো হবে।