বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘জলবায়ু অভিবাসীর দায় গোটা বিশ্বকে নিতে হবে’

  •    
  • ১ নভেম্বর, ২০২১ ২১:১৬

গ্লাসগোতে কপ-২৬ সম্মেলনে যোগ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জলবায়ু চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় চার দফা দাবি জানান। তিনি বলেন, ‘ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরাম (সিভিএফ) এবং ভি২০-এর চেয়ার হিসাবে, আমরা ৪৮টি জলবায়ু-ঝুঁকিপূর্ণ দেশের স্বার্থ নিয়ে কথা বলে যাচ্ছি।’

কার্বন নির্গমনের জন্য দায়ী উন্নত দেশগুলো থেকে বার্ষিক ১০০ বিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণ আদায় নিশ্চিত করাসহ তাদের উচ্চাভিলাষী এনডিসি বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, জলবায়ু অভিবাসীদের দায় গোটা বিশ্বকে নিতে হবে।

জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশনে যোগ দিয়ে জলবায়ু চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় চার দফা দাবি জানান তিনি। ‘কনফারেন্স অফ দ্য পার্টিজ (কপ-২৬)’ এর ২৬তম আসর এবার বসেছে স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোতে।

এতে যোগ দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরাম (সিভিএফ) এবং ভি২০-এর চেয়ার হিসাবে, আমরা ৪৮টি জলবায়ু-ঝুঁকিপূর্ণ দেশের স্বার্থ নিয়ে কথা বলে যাচ্ছি।’

শেখ হাসিনার চার দফা

প্রধানমন্ত্রী যে চার দফা করণীয় তুলে ধরেছেন, সেগুলো হলো:

প্রথমত, প্রধান নির্গমনকারীদের অবশ্যই উচ্চাভিলাষী এনডিসি জমা দিতে হবে এবং তা বাস্তবায়ন করতে হবে।

দ্বিতীয়ত, উন্নত দেশগুলোকে অভিযোজন এবং প্রশমনের মধ্যে ৫০:৫০ ভারসাম্য রক্ষাসহ বার্ষিক ১০০ বিলিয়ন ডলার অর্থ দেয়ার প্রতিশ্রুতি পূরণ করা উচিত।

তৃতীয়ত, উন্নত দেশগুলোর উচিত সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোতে সাশ্রয়ী মূল্যে পরিচ্ছন্ন ও সবুজ প্রযুক্তি ছড়িয়ে দেওয়া। সিভিএফ সদস্য দেশগুলোর উন্নয়ন চাহিদাও বিবেচনা করা প্রয়োজন।

চতুর্থত, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি, লবণাক্ততা বৃদ্ধি, নদী ভাঙন, বন্যা এবং খরার কারণে বাস্তুচ্যুত জলবায়ু অভিবাসীদের দায় গোটা বিশ্বকে নিতে হবে এবং ক্ষয়-ক্ষতির বিষয়টি অবশ্যই সমাধান করতে হবে।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘বৈশ্বিক কার্বন নির্গমনের মাত্র ০ দশমিক ৪৭ শতাংশের জন্য দায়ী হলেও জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর একটি বাংলাদেশ।’

চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তার সরকারের নেয়া পদক্ষেপ বিশ্বমঞ্চে তুলে ধরেন শেখ হাসিনা। বলেন, ‘আমরা ২০০৯ সালে বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ড গঠন করেছি। গত সাত বছরে আমরা জলবায়ু সংক্রান্ত ব্যয় দ্বিগুণ করেছি। এখন জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা তৈরি করছি।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সম্প্রতি আমরা একটি উচ্চাভিলাষী এবং হালনাগাদ এনডিসি (ন্যাশনাল ডিটারমাইন্ড কন্ট্রিবিউশন) জমা দিয়েছি। বাংলাদেশে বিশ্বের অন্যতম বিস্তৃত অভ্যন্তরীণ সৌরশক্তি কর্মসূচি রয়েছে। ২০৪১ সালের মধ্যে আমাদের আশা ৪০ শতাংশ শক্তি নবায়নযোগ্য উত্স থেকে পাওয়া যাবে।’

পরিবেশ দূষণের জন্য দায়ী কয়লাভিত্তিক বিদ্যুত কেন্দ্র থেকে সরে আসার বিষয়টিও বৈশ্বিক সম্মেলনে তুলে ধরেন সরকারপ্রধান। তিনি বলেন, ‘আমরা ১২ বিলিয়ন ডলারের বিদেশি বিনিয়োগের ১০টি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বাতিল করেছি। আমরা মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছি, যা জলবায়ু দুর্বলতা কাটিয়ে স্থিতিস্থাপকতা থেকে জলবায়ু সমৃদ্ধির পথে নিয়ে যাবে।’

জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের ১১ লাখ নাগরিক বা রোহিঙ্গাদের কারণে জলবায়ু প্রভাবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার চেষ্টাও চলছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।

এ বিভাগের আরো খবর