তিন প্রান্তিক শেষে বড় লোকসানে থাকলেও চতুর্থ প্রান্তিকে বড় মুনাফা করে নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রাইম টেক্সটাইল।
সোমবার কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে বিনিয়োগকারীদের শেয়ার প্রতি ২০ পয়সা করে লভ্যাংশ দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন কোম্পানি সচিব মানজুরুল হাসান তালুকদার।
তিনি জানান, গত ৩০ জুন সমাপ্ত অর্থবছরে তাদের কোম্পানির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৬২ পয়সা।
এই আয় বিনিয়োগকারীদেরকে অনেকটাই স্বস্তি দেবে। গত বছর শেয়ার প্রতি ২ টাকা ৬৭ পয়সা লোকসান দেয়া কোম্পানিটি এবারও মার্চ শেষে তৃতীয় প্রান্তিক পর্যন্ত শেয়ার প্রতি ২ টাকা ১২ পয়সা লোকসানে ছিল। কিন্তু চতুর্থ প্রান্তিকে এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত তিন মাসে তাদের শেয়ারে আয় হয়েছে ২ টাকা ৭৪ পয়সা।
গত বছর লোকসান দিলেও রিজার্ভ থেকে শেয়ার প্রতি ১০ পয়সা লভ্যাংশ দিয়েছিল কোম্পনিটি। এবার আর রিজার্ভে হাত দিতে হচ্ছে না।
কোম্পানিটির সম্পদমূল্যও কিছুটা বেড়েছে। ২০২০ সালের জুন শেষে শেয়ার প্রতি ৬৭ টাকা ২৭ পয়সার সম্পদ ছিল কোম্পানিতে। এক বছর পর গত জুন শেষে তা দাঁড়িয়েছে ৬৭ টাকা ৯৩ পয়সা।
কোম্পানিটির লভ্যাংশ সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ২৫ নভেম্বর। অর্থাৎ যারা লভ্যাংশ নিতে চান, তাদেরকে সেদিন শেয়ার ধরে রাখতে হবে।
লভ্যাংশ চূড়ান্ত করতে বার্ষিক সাধারণ সভা ডাকা হয়েছে আগামী ৩০ ডিসেম্বর।
চলতি বছর বেশ কিছু কোম্পানির নামমাত্র লভ্যাংশ ঘোষণার পরও বিনিয়োগকারীদেরকে উচ্ছ্বসিত করেছে। লোকসানে থেকেও হামিদ ফেব্রিক্স শেয়ারে ৫০ পয়সা লভ্যাংশ দেয়ার পর তিন কর্মদিবসেই শেয়ার মূল্য প্রায় দ্বিগুণ হয়ে গেছে। লোকসান থেকে বের হয়ে সাফকো স্পিনিংয়ের লভ্যাংশ ঘোষণার পর দুই দিনে বেড়েছে ৩০ শতাংশের বেশি।
শেয়ারে ১০ পয়সা লভ্যাংশ দিয়েও লিগ্যাসি ফুটওয়্যারের শেয়ারদর বেড়েছে। ৩০ পয়সা লভ্যাংশ দেয়ার পর মোজাফফর হোসেন স্পিনিং মিলসের শেয়ারদরেও উল্লম্ফন হয়েছে।
প্রাইম টেক্সটাইলের ক্ষেত্রে কী হয়, তা বোঝা যাবে মঙ্গলবার। তবে কোম্পানিটির শেয়ারদর তার সম্পদমূল্যের তিন ভাগের প্রায় এক ভাগ থাকা নিয়ে আলোচনা আছে আগে থেকেই।
কোম্পানিটির সবশেষ শেয়ারদর ২৪ টাকা ২০ পয়সা। গত এক বছরে শেয়ারদর ১৪ টাকা ৩০ পয়সা থেকে ২৭ টাকা ৬০ পয়সা পর্যন্ত উঠানামা করেছে।