বরগুনার তালতলীতে পারিবারিক বিরোধের জেরে মামাকে কুপিয়ে জখম করা যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
উপজেলার গাবতলী গ্রামের কাওসার হাওলাদারের বাড়ির আঙিনার গাছে ঝুলতে থাকা মাহাফুজকে রোববার রাত ১০টার দিকে উদ্ধার করা হয়। পরে তাকে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
২০ বছর বয়সী মাহফুজের বাড়ি সদর উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়নের বড় লবণগোলা এলাকায়।
তালতলীর ছোটোবগী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তৌফিকুজ্জামান তনু জানান, রোববার রাত ১০টার দিকে প্রতিবেশী বাদশা হাওলাদারের স্ত্রী মাহফুজকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখে চিৎকার করেন। পরে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেন।
তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান জানান, মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি শেষে ময়নাতদন্তের জন্য বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।এর আগে পারিবারিক বিরোধের জেরে গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মামা ফজলু প্যাদাকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেন মাহফুজ। বর্তমানে ফজলু বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন।
বুড়িরচর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ফারুক মিয়া জানান, মামীর বোনকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়া নিয়ে মাহফুজের সঙ্গে দ্বন্দ্ব তৈরি হয় ফজলুর। বিষয়টি নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে সম্পর্কের চরম অবনতি হয়। এর জেরে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মাহফুজ ও তার মা কুলসুম বেগমের সঙ্গে ফজলুর বাগ্বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে মাহফুজ উত্তেজিত হয়ে ধারাল দা দিয়ে ফজলুর মাথায় কুপিয়ে জখম করেন।
এ ঘটনার পর থেকে মাহফুজ ও তার মা কুলসুম বেগম পলাতক ছিলেন।