কক্সবাজারের সাবেক ছাত্রলীগ নেতা গুলিবিদ্ধের ঘটনায় পৌর মেয়রের বিরুদ্ধে মামলার প্রতিবাদে কার্যত অচল হয়ে পড়েছে।
ছা্ত্রলীগ নেতা মোনাফ সিকদারকে গুলি করার ঘটনায় জেলা আওয়ামী লীগ নেতা ও পৌর মেয়র মুজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা হয় রোববার দুপুরে।
এ তথ্য ছড়িয়ে পড়ার পর সন্ধ্যায় কক্সবাজার শহরের রাস্তায় নামেন ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীরা। শহরের কলাতলী, সুগন্ধা, লাবণী পয়েন্ট, বাজারঘাটাসহ বিভিন্ন মোড়ে অবস্থান নেন তারা। আর পৌরসভা চত্বরে জড়ো হন কয়েক হাজার নেতা-কর্মী।
এ সময় কলাতলীর সুগন্ধা ও ডলফিন মোড়ে বিক্ষোভকারীরা সড়কে টায়ার ও কাঠ দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেন। এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন পর্যটকরা। ব্যবসায়ীরাও দোকান বন্ধ করে দেন।
মোনাফের ভাই মো. শাহজাহানের করা মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র মুজিবুর রহমানকে। কক্সবাজার সদর থানায় করা ওই মামলায় আরও সাতজনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতপরিচয় পাঁচ-ছয়জনকে আসামি করা হয়েছে।
এরপরই জেলার বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ করেন নেতা-কমীরা। তারা জানান, মামলাটি ষড়যন্ত্রমূলক। দ্রুত মামলা প্রত্যাহার করা না হলে কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে।
কক্সবাজার সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মুনীরুল গিয়াস জানান, মোনাফ সিকদারকে গুলি করে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় তার বড় ভাই আটজনের নাম উল্লেখ এবং পাঁচ-ছয়জনকে অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করে মামলা করেছেন।
মামলায় নাম উল্লেখ করা আসামিরা হলেন পৌর মেয়র মুজিবুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা নাজনীন সরওয়ার কাবেরী, মো. সরওয়ার কামাল, সাদেক উল্লাহ সিদ্দিকী, খায়রুল আমিন, আব্দুল জব্বার, নুরুল আমিন ও আবু সিদ্দিকী খোকন।
গত বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে কক্সবাজার শহরের সুগন্ধা পয়েন্টে একটি মার্কেটের সামনে দুর্বৃত্তরা মোনাফ সিকদারকে গুলি করে।
সেখান থেকে গুরুতর আহত মোনাফকে উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।