বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

প্রত্যাশিত আয়ে বাধা টার্নওভার কর: রবি

  •    
  • ৩১ অক্টোবর, ২০২১ ২১:৩১

‘প্রথম নয় মাসে আমাদের কর পরবর্তী মুনাফা ১৬৭ দশমিক ৪ কোটি টাকার পরিবর্তে ২৮৯ দশমিক ৩ কোটি টাকা হতে পারত, যদি ২ শতাংশ ন্যূনতম টার্নওভার কর আমাদের উপর আরোপ করা না হতো। যার ফলে শেয়ারহোল্ডাররা কোম্পানিতে তাদের বিনিয়োগের প্রাপ্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।’

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি রবি বিনিয়োগকারীদের প্রত্যাশা মতো আয় করতে না পারার কারণ হিসেবে টার্নওভার করের বিষয়টি তুলে ধরেছে।

তিন প্রান্তিক মিলিয়ে কোম্পানিটি শেয়ার প্রতি আয় করতে পেরেছে কেবল ৩২ পয়সা। এর মধ্যে জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আয় করেছে ১৭ পয়সা; সব মিলিয়ে ৮৬ টাকা ৫০ লাখ টাকা।

কোম্পানিটি বলছে, ২ শতাংশ ন্যূনতম টার্নওভার কর না থাকলে, মুনাফার পরিমাণ হতো ১২৮ কোটি ২০ লাখ টাকা।

রোববার এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে কোম্পানিটির তৃতীয় প্রান্তিকের আর্থিক ফলাফল তুলে ধরেন অ্যাক্টিং সিইও অ্যান্ড সিএফও এম রিয়াজ রশীদ।

তিনি বলেন, ‘প্রথম নয় মাসে আমাদের কর পরবর্তী মুনাফা ১৬৭ দশমিক ৪ কোটি টাকার পরিবর্তে ২৮৯ দশমিক ৩ কোটি টাকা হতে পারত, যদি ২ শতাংশ ন্যূনতম টার্নওভার কর আমাদের উপর আরোপ করা না হতো। যার ফলে শেয়ারহোল্ডাররা কোম্পানিতে তাদের বিনিয়োগের প্রাপ্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।’

গত বছরের শেষে পুঁজিবাজারে রবির তালিকাভুক্তি নিয়ে উচ্ছ্বাস থাকলেও প্রত্যাশিত আয় করতে না পারার পর কোনো লভ্যাংশ পাননি বিনিয়োগকারীরা। চলতি বছরও যে আর্থিক হিসাব প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে এবারও লভ্যাংশ কত হবে, তা নিয়ে আছে প্রশ্ন।

অথচ টেলিকমিউনিকেশন খাতের আরেক কোম্পানি গ্রামীণ ফোন প্রতি বছর বিপুল পরিমাণ আয় করে বিনিয়োগকারীদেরকে আকর্ষণীয় হারে লভ্যাংশ দিয়ে আসছে।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রবির সক্রিয় গ্রাহক সংখ্যা ৫ কোটি ৩০ লাখ, যা দেশের মোট মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীর ২৯ দশমিক ৫ শতাংশ। ইন্টারনেট গ্রাহক সংখ্যা ৩ কোটি ৯২ লাখ, যা রবির মোট গ্রাহকের ৭৪ শতাংশ। এর মধ্যে ২ কোটি ২৪ লাখ গ্রাহক ফোরজি সেবার আওতায় এসেছে।

এই প্রান্তিকে রাজস্ব আয় হয়েছে ২ হাজার ৮৫ কোটি টাকা, যা গত প্রান্তিকের তুলনায় ২ দশমিক ৭ শতাংশ বেশি। ৪১ দশমিক ৩ শতাংশ মার্জিনসহ ইবিআইটিডিএ (ব্যয় পরবর্তী আয়) ৮৬১ দশমিক ১ কোটি টাকা, মূলধনি বিনিয়োগ ৬৫০ দশমিক ৭ কোটি টাকা।

এ সময় অপারেটরটি রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা ১ হাজার ১১৯ কোটি টাকা, যা তৃতীয় প্রান্তিকে রবির অর্জিত রাজস্ব আয়ের ৫৩ দশমিক ৭ শতাংশ। বছরের প্রথম নয় মাসে রবি রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দিয়েছে ৩ হাজার ৩৭৩ কোটি টাকা, যা কোম্পানির মোট রাজস্বের ৫৫ দশমিক ৬ শতাংশ।

রিয়াজ রশীদ বলেন, গত বছরের তুলনায় ডিজিটাল কাস্টমার টাচপয়েন্টে গ্রাহকের যোগাযোগ ৪৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এর দ্বারা এটি স্পষ্ট যে রবি তার ডিজিটাল লক্ষ্যমাত্রার দিকে সুন্দরভাবে এগিয়ে যাচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, দ্বিতীয় প্রান্তিকের তুলনায় তৃতীয় প্রান্তিকে রবি’র ফোরজি গ্রাহক সংখ্যা ১২ দশমিক ৭ শতাংশ বেড়েছে। আর ২০২০ সালের একই প্রান্তিকের তুলনায় বেড়েছে ৫১ দশমিক ১ শতাংশ বেড়েছে।

২০২০ সালের একই প্রান্তিকের তুলনায় এ প্রান্তিকে রবি’র গ্রাহক সংখ্যা ৫ দশমিক ৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের তুলনায় তৃতীয় প্রান্তিকে রবি’র গ্রাহক সংখ্যা ২ দশমিক ৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর