কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলায় একটি চায়ের দোকান থেকে হযরত আলী নামে এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ওই চায়ের দোকানের মালিক মৃত ব্যক্তির স্ত্রী।
উপজেলার নাগেশ্বরী পৌরসভার পঁয়রাডাঙ্গা গ্রামের এক চায়ের দোকান থেকে রোববার দুপুরে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
মৃত ব্যক্তির নাম হযরত আলী। তার বাড়ি পঁয়রাডাঙ্গা গ্রামেই। তিনি ভ্যানগাড়িতে করে গ্রামে গ্রামে ঘুরে পরিত্যক্ত জিনিস কিনে মহাজনের কাছে বিক্রি করতেন।
পুলিশ জানায়, দুপুরে স্থানীয়রা জানালে তারা মরদেহ উদ্ধার করে থানায় আনে। ওই সময় হযরতের স্ত্রী ফিরোজা বেগম ঘটনাস্থলেই ছিলেন।
হযরত আলীর ভাগনে সোলায়মান নিউজবাংলাকে জানান, হযরতের দ্বিতীয় স্ত্রী ফিরোজা বাড়ির পাশে দাদামোড়ের চৌবাড়ি এলাকায় একটি চায়ের দোকান চালান। শনিবার সন্ধ্যায় ওই চায়ের দোকানেই গিয়েছিলেন হযরত আলী। পরে রাত ২টার দিকে স্বজনদের মোবাইলে কল করে হযরতের মৃত্যুর কথা জানান ফিরোজা।
হযরতের আরেক ভাগনে রনি বলেন, ‘রাতে মামির ফোন পাই। তিনি বলেন, মামা (হযরত আলী) রাত ১১টার দিকে অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং ২টার কিছুক্ষণ আগে মারা গেছেন। আমরা এসে দেখি চায়ের দোকানের একটি টেবিলের ওপর পড়ে আছে মামার দেহ।
তিনি আরও বলেন, ‘মামার মৃত্যু আমাদের কাছে সন্দেহজনক মনে হচ্ছে।’
হযরতের ভাতিজা মতিয়ার রহমান অভিযোগ করেন,বেশ কিছুদিন থেকে ফিরোজার সঙ্গে আনিছুর রহমান নামে স্থানীয় এক ব্যক্তির বিয়েবহির্ভূত সম্পর্ক আছে, এমন সন্দেহ ছিল চাচার। আর এ নিয়ে তাদের প্রায়ই ঝগড়া হতো।
এরই জেরে হযরতকে হত্যা করা হতে পারে বলে মনে করেন তার স্বজনরা।
এ বিষয়ে নাগেশ্বরী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নবিউল হাসান জানান, হযরতের দেহে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি।
ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।