বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

রাজশাহী শিশু হাসপাতালের ভবন বানাতেই ৬ বছর পার

  •    
  • ৩০ অক্টোবর, ২০২১ ০৮:৩৭

রাজশাহী গণপূর্ত বিভাগ সূত্রমতে, ২০১৫ সালের মে মাসে টিবিপুকুর এলাকায় চার তলা ভবনটির নির্মাণকাজ শুরু করে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান হোসেন এন্টারপ্রাইজ। নির্মাণ ব্যয় ধরা হয় ১৩ কোটি টাকা। প্রকল্পের হিসেবে নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০১৮ সালের জুন মাসে। নির্ধারিত সময়ে তা শেষ না হওয়ায় ২০১৯ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত মেয়াদ বাড়ানো হয়। দ্বিতীয় দফায় আবারও মেয়াদ বাড়িয়ে ২০২০ সালের জুন সময় দেয়া হয়। তৃতীয় ধাপে মেয়াদ আবারও বাড়িয়ে করা হয় চলতি বছরের ডিসেম্বর।

তিন দফায় মেয়াদ বাড়িয়েও শেষ হয়নি রাজশাহী শিশু হাসপাতালের নির্মাণ কাজ। সাড়ে ছয় বছর ধরে গড়ে তোলা হয়েছে হাসপাতালটির পাঁচ তলা ভবনের অবকাঠামো। এখনও বাকি ভেতরের বেশিরভাগ কাজ। কবে নাগাদ সেখানে চিকিৎসা সেবা দেয়া শুরু হতে পারে তা নিয়ে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা। সংশ্লিষ্টরা দাবি করেছেন, দেড় মাসের মধ্যে সব কাজ শেষ হবে।

রাজশাহী গণপূর্ত বিভাগ সূত্রমতে, ২০১৫ সালের মে মাসে টিবিপুকুর এলাকায় চার তলা ভবনটির নির্মাণকাজ শুরু করে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান হোসেন এন্টারপ্রাইজ। নির্মাণ ব্যয় ধরা হয় ১৩ কোটি টাকা।

প্রকল্পের হিসেবে নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০১৮ সালের জুন মাসে। নির্ধারিত সময়ে তা শেষ না হওয়ায় ২০১৯ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত মেয়াদ বাড়ানো হয়। দ্বিতীয় দফায় আবারও মেয়াদ বাড়িয়ে ২০২০ সালের জুন সময় দেয়া হয়।

তৃতীয় ধাপে মেয়াদ আবারও বাড়িয়ে করা হয় চলতি বছরের ডিসেম্বর। এখন এর ৯৫ শতাংশ কাজ বাকি আছে বলে জানিয়েছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।

তবে নির্মানাধীন ভবন ঘুরে দেখা গেছে, ৫ তলা পুরোপুরি উঠে গেলেও ভেতরে এখনও অনেক কাজ বাকি রয়েছে। মুল ভবনের রঙের কাজ চলছে। কিচেন বিল্ডিং, গ্যাস সিলিন্ডার রুম, ভেতরের রাস্তা, ক্রস ড্রেন ও সীমানা প্রাচীর নির্মাণের কাজ বাকি রয়েছে।

হাসপাতালটির নির্মাণকাজ তদারকির দায়িত্বে থাকা গণপূর্ত বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘ভবনের নির্মানের শুরুতে কিছু সমস্যা দেখা দেয়। এটি যেখানে তৈরি হচ্ছে সেখানে পুরোনো ভবন ছিল। সেটি ভাঙতে কিছুটা দেরি হওয়ায় আমরা কাজ বুঝিয়ে দিতে পারিনি সময়মতো।’

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান হোসেন এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী আবদুর রশিদ বলেন, ‘গণপূর্ত বিভাগ কাজ বুঝিয়ে দিতেই দেরি করেছে। এ কারণে নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করা যায়নি। এটি এখন রিভাইজ চলছে। রিভাইজ পাস হয়ে আসার পরে এটি ফিনিসিং হবে।

‘এর দুইবার ডিজাইন চেঞ্জ করেছে। তৃতীয়বার অনুমোদনের জন্য গেছে। এটি হলে কাজ শেষ করে আমরা হস্তান্তর করবো।’

নকশার পরিবর্তনের বিষয়ে রশিদ বলেন, ‘শুরুতে ভবন করার কথা ছিল ১০ তলার। এখন আমরা ৫ তালার কাজ পেয়েছি। ভবনটা ছিল ১৬ হাজার স্কায়ার ফিট। এটি পরিবর্তন করে হয়ে যায় ২৪ হাজার স্কায়ার ফিট। এর কারণেই সব কিছু পরিবর্তন হয়েছে। সময়ও বেশি লেগে গেছে।’

রাজশাহী গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘শিশু হাসপাতলের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। এখন কিছু প্রক্রিয়াগত কারণে এটি দেরি হচ্ছে। এরিয়া বাড়ার কারণে খরচ বেড়েছে। ভবনের পরিসর বাড়লে আগেই অনুমোদন নিয়ে কাজ করতে হয়। আমরা হিসাব-নিকাশ করে এটি অনুমোদনের জন্য পাঠিয়েছি হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এখানে বস্তি ছিল। এগুলো সরাতে ও কাজ শুরু করতে সময় লেগেছে। আর দেড় থেকে দুই মাসের মতো সময় লাগবে। কাজ প্রায় শেষ হয়ে গেছে। যা কাজ আছে তা দেড় মাসের বেশি লাগবে না।’

মোস্তাফিজুর জানান, ভবন নির্মানের জন্য এখন ২৩ কোটি টাকার মত লাগছে। শুরুতে খরচ ধরা হয়েছিল ১৯ কোটি টাকা।

রাজশাহীর সবচেয়ে বড় চিকিৎসাকেন্দ্র রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে সবসময়ই বাড়তি রোগীর চাপ থাকে।

হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী বলেন, ‘আমাদের এখানে তিনটি ওয়ার্ডে শিশু রোগীর চিকিৎসা হচ্ছে। রোগীর চাপ থাকে সব সময়ই। শিশু হাসপাতালটি চালু হলে এই সংকট অনেকটাই কেটে যাবে। অভিভাবকরাও শিশুদের চিকিৎসায় স্বস্তি পাবেন।’

এ বিভাগের আরো খবর