ছাত্রলীগের ৩০তম সম্মেলন দাবি করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে লেখালেখি করায় এক ছাত্রলীগ নেতাকে পিটিয়ে মাথা ফাটিয়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
শুক্রবার রাত ১০টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে এ ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীর।
আহত ওই ছাত্রলীগ নেতার নাম মুন্না। তিনি সিলেটের কানাইঘাট সরকারি কলেজের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি। বর্তমানে মুন্না ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
তার অভিযোগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আমির হামজা এবং ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগ নেতা রৌদ্রিক রাব্বীর নেতৃত্বে এই হামলা হয়েছে।
ছাত্রলীগ নেতা মুন্না বলেন, ‘আমি রাত ১০টার দিকে টিএসসির ডাস চত্বরে বসে ছিলাম। এ সময় আমির হামজার নেতৃত্বে ১০-১২ জন আমাকে ঘিরে ধরে। এরপর একজন আমাকে আমি ক্যাম্পাসের কি না জিজ্ঞাসা করে।’
তিনি বলেন, ‘আমি না বলার পর তারা হঠাৎ আমাকে রড-লাঠি দিয়ে মারতে থাকে। এতে আমার মাথা ফেটে যায়। তারা চলে যাওয়ার পর আমি এক ছোট ভাইকে ফোন দিয়ে ডেকে এনে তার মাধ্যমে মেডিক্যালে আসি।’
মুন্না বলেন, ‘আমি ছাত্রলীগের সম্মেলন চাই। এ নিয়ে ফেসবুকে লেখালেখি করি। সংগঠনের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে গঠনমূলক সমালোচনা করি। এটাই আমার অপরাধ।’
তিনি বলেন, ‘এর আগে গত ২৭ অক্টোবর এই আমির হামজাই আমাকে মধুর ক্যান্টিনে গালাগালি করেছে। সেদিন আমি মধুর ক্যান্টিনে দাঁড়িয়ে থাকলে আমির হামজা পেছন থেকে আমার শার্টে কলার ধরে টান দেয়। আমাকে অকথ্য ভাষায় গালি দিয়ে বলে, তুই ত সম্মেলন চাস। তুই এখানে কেন?’
ছাত্রলীগের সম্মেলনপ্রত্যাশী কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের উপপ্রশিক্ষণবিষয়ক সম্পাদক মেশকাত হোসেন বলেন, ‘মধুর ক্যান্টিনের ঘটনার বিষয়ে আমি ছাত্রলীগ সভাপতিকে জানাই। তিনি বলেছেন, বিষয়টা দেখবেন। এরপর কিন্তু আর দেখেননি। আর আজকে সে মার খেয়ে হাসপাতালে ভর্তি। সম্মেলন চাওয়াই তার একমাত্র অপরাধ।’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে আমির হামজা বিষয়টি অস্বীকার করেন।
তিনি বলেন, ‘আমি সেখানে ছিলাম না। যারা সম্মেলন চায়, এগুলা তাদের বানানো নাটক। আমি জয় ভাইয়ের রাজনীতি করি। আমার জন্য তারা অনেক কিছু করতে পারছে না। তাই আমাকে কীভাবে থামিয়ে দেয়া যায়, সে জন্য নাটক সাজিয়েছে।’
মধুর ক্যান্টিনের ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এগুলো সব মিথ্যা।’
অন্য এক অভিযুক্ত রৌদ্রিক রাব্বীও ঘটনার বিষয়টি অস্বীকার করেন।
তিনি বলেন, ‘এটি সম্পূর্ণ বানোয়াট। আমি সেখানে ছিলাম না।’
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য ছাত্রলীগ সভাপতি আল নাহিয়ান জয়কে একাধিকবার ফোন দেয়া হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। হোয়াটসঅ্যাপে খুদে বার্তা পাঠালেও উত্তর দেননি।